রাজনীতি:
একটি উপ-নির্বাচন ছাড়া আর কোনও জয় আসেনি শান্তিপুর থেকে। প্রতিবারেই শূন্য ঝুলিতে ফিরতে হয়েছে। তাই এবারের উপ-নির্বাচনে অরাজনৈতিক, গোস্বামী পরিবারের উত্তরসূরীকে প্রার্থী করে কার্যত মাস্টারস্ট্রোক দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শান্তিপুর বিধানসভা উপ-নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হলেন বিজয় গোস্বামী পরিবারের বংশধর ব্রজ কিশোর গোস্বামী। প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়ালেও জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী ব্রজ কিশোর। তাই বিধায়ক হলে এলাকার উন্নয়নে প্রথম কোন কাজটি করবেন তাও স্থির করে ফেলেছেন তিনি।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিপুর উপ-নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেওয়ায় স্বভাবতই উৎফুল্ল ব্রজ কিশোর গোস্বামী। দলনেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে যে গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন, তার জন্য আমি আনন্দিত ও গর্বিত। ২০১৪-য় একবারই উপ-নির্বাচনে এখানে তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। আমি এবারে জিতে এই আসনটি তাঁকে উপহার দিতে চেষ্টা করব।’
ব্রজ কিশোর গোস্বামী শান্তিপুর উপ-নির্বাচনে জিতলে এটাই হবে তাঁর সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ। তাই শান্তিপুরের ভূমিপুত্র প্রথমবার বিধায়ক হয়ে সর্বপ্রথম কোন কাজটি করবেন তাও ঠিক করে ফেলেছেন। তাঁর কথায়, ‘আমি বিধায়ক হলে প্রথমে শান্তিপুর হাসপাতালটি ভালো করার চেষ্টা করব। হাসপাতালটির উন্নয়নের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব। ওই হাসপাতালে এখানকার বহু মানুষ যায়। হাসপাতালটির উন্নয়ন হলে, চিকিৎসা পরিষেবা ঠিক হলে সাধারণ মানুষের উন্নয়ন হবে। তাঁরা ভালো চিকিৎসা পাবেন।’
ব্রজ কিশোর গোস্বামী শান্তিপুরের অদ্বৈত বংশের সন্তান। শান্তিপুরের বহু গোস্বামী বাড়ি আজ অবহেলিত, উন্নয়নের অভাবে ধুঁকছে। বিধায়ক হলে সেগুলি উন্নয়নের চেষ্টা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। তবে শুধু গোস্বামী বাড়ি বা মন্দির নয়, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র এলাকার উন্নয়ন করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্রজ কিশোর গোস্বামী। তাঁর কথায়, ‘মন্দির, মসজিদ, গির্জা সমস্ত কিছুরই উন্নয়ন করতে হবে। আমি সবার বিধায়ক হব- যতটা হিন্দুর, ততটা মুসলিমের।’