নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
এই কালীপূজা একজন মুসলিম মহিলার হাতেই হয়ে থাকে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলার হাত ধরে শুরু হওয়া হবিবপুরের মধ্যম কেন্দুয়ার রেল ব্রিজ এর কালীপুজো সম্প্রীতির বার্তা বহন করে চলেছে এই পুজো কে কেন্দ্র করে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দে মেতে ওঠেন নানা অলৌকিক কাহিনীর মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই পুজো নিষ্ঠার সঙ্গে করে আসছেন উদ্যোক্তারা।। শেফালী ব্যবহার ও তার পরিবারের পূজো পরিচালনা করেন একজন সংখ্যালঘু মহিলার মা কালীর প্রতি প্রেমভক্তি সকলকে আকর্ষণ করে। মালদার হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডী অঞ্চলের মধ্যেমকেন্দুয়া গ্রামের রেল লাইন ঘেঁষা এই কালীর স্থান। মুসলিম মহিলার নাম শেফালী বেওয়া।তিনি জানান প্রায় বছর ৩৫ আগে তার খুব অসুখ হয়েছিল এবং কোন ডাক্তার তার রোগ ধরতে পারেননি। হঠাৎ মুসলিম মহিলা শেফালী বেওয়াকে স্বপ্নদেয় মাকালী পুজো করলে তার অসুখ শেরে যাবে। । এই কথা তিনি গ্রামবাসিকে জানালে প্রথমে গ্রামবাসীরা কেউ এই কথা বিশ্বাস করতে চাইনি। মুসলিম কালী পুজো করবে এই কথা ছড়িয়ে পরে এলাকায়। হঠাৎ শেফালী দেবীর শরীরে ভর করে মা কালী। গ্রামবাসিদের সব কথা বলে।তা শুনেই শুরু হয়ে যায় কালীপুজো।গ্রামে যদি কারো অসুখ,অসুবিধা হয় তখন এই শেফালী দেবীর কাছেই ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা।তাদের অসুবিধের কথা শেফালী দেবীর শরীরে মা কালী ভর করে এবং তাদের সব অসুখ,অসুবিধা দূর হয়ে যায়। গ্রাম ছাড়াও জেলা বিভিন্ন এলাকা থেকে এই মায়ের কাছে ছুটে আসেন অনেক ভক্তরা।ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে মাকালীর মূর্তি তৈরি কাজ।এই কালীর পূজো রেল লাইনের ধারে ছোট একটা জায়গায় হয়ে আসছে । শেফালী নাম থেকে কালীর নাম হয়ে গিয়েছে শেফালী কালী পূজা। মায়ের মূর্তির সামনে থাকা পুকুরে ১৫ দিন পরে বিসর্জন করা হয়।