ময়নাগুড়ি, ৭ জুন : বিয়ের এক বছরের মাথায় শশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হলো এক গৃহবধুর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের হেলাপাকড়ি সংলগ্ন ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়। ওই গৃহবধূর নাম পারুল রায়, বয়স আনুমানিক ১৮ বছর। মঙ্গলবার দুপুরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। এদিকে ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতে গৃহবধুর বাপের বাড়ি থেকে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনায় পুলিশ মৃত পারুল রায়ের স্বামী রতন রায়কে গ্রেফতার করেছে। বুধবার ধৃত স্বামীকে আদালতে পাঠানো হয়।
জানা যায়, গত এক বছর আগে হেলাপাকড়ি সংলগ্ন ডাঙ্গাপাড়া এলাকার রতন রায়ের সাথে পালিয়ে বিয়ে করে ভোটপট্টির মেয়ে পারুল রায়। স্বামী পেশায় দিনমজুর। কিন্তু গত চার-পাঁচ মাস যাবত বাড়িতে আছেন শাশুড়ী, বৌমা ও ছেলে। অভিযোগ শাশুড়ি, ননদ, স্বামী মিলে পারুলের উপর শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার চালাতো। মঙ্গলবার গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীরা পারুলের উপর হওয়া নির্যাতিতের কথা তাদের জানান।
পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি পাঠিয়েছে। সন্ধায় মৃতার বাবা উপেন রায় ময়নাগুড়ি থানার দ্বারস্থ হন এবং মেয়ের স্বামী, শাশুড়ী ও ননদের নামে হত্যার এযাহার জমা করেন। এই বিষয়ে মৃত গৃহবধুর দাদা জগন্নাথ রায় বলেন, ” ওর শশুর বাড়ির লোক ওর উপর অত্যাচার করতো। এর আগেও বাড়িতে বলেছিল। ওদের প্রতিবেশীরাও অত্যাচারের বিষয়টি জানিয়েছে। আমরা থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ জমা করেছি।” মৃতের বাবা উপেন রায় বলেন, ” আমার মেয়ের উপর জামাই, ওর মা, বোন মিলে অত্যাচার চালাতো। আমার মেয়ে সহ্য করতে না পেরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা চাই দোষীর কঠোর শাস্তি হোক।”