রাজ্যঃ
শনিবার তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে দলবদলুদের দলে ফেরানো নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হল না। শুধুমাত্র সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বললেন, ‘দলে যাঁরা ফিরতে চাইছেন, সে ব্যাপারে তৃণমূলনেত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন’। অর্থাৎ, দলবদলুদের দলে ফেরানো নিয়ে শেষ কথা বলবেন তৃণমূল সুপ্রিমোই। প্রসঙ্গত, একুশের ভোটে ঐতিহাসিক জয়ের পর কালীঘাটে সাংবাদিক বৈঠকে দলবদলুদের দলে ফেরার প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আসুক না। কে বারণ করেছে? এলে স্বাগত!’ তৃণমূলনেত্রীর এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।
ক’দিন আগে মমতার উদ্দেশে টুইটারে সোনালি গুহ লিখেছিলেন, ‘আমার প্রণাম নেবেন, আমি সোনালি গুহ, অত্যন্ত ভগ্ন হৃদয়ে বলছি যে, আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম, যেটা ছিল আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু, সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনই আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। দিদি, আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিয়ে বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন’। সোনালির পাশাপাশি তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে একই কাকুতিমিনতি করেছেন সরলা মুর্মু, বাচ্চু হাঁসদা, দীপেন্দু বিশ্বাসরা।