Wednesday, May 1, 2024
Homeময়নাগুড়িচিকিৎসকের গাফিলতির অভিযোগে মুমূর্ষু রোগীর মৃত্যু, ঘটনায় চাঞ্চল্য ময়নাগুড়িতে

চিকিৎসকের গাফিলতির অভিযোগে মুমূর্ষু রোগীর মৃত্যু, ঘটনায় চাঞ্চল্য ময়নাগুড়িতে

ময়নাগুড়ি, ১০ ডিসেম্বর : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন প্রথমে চিকিৎসা তারপর অন্য কিছু। সেই জায়গায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের গাফিলতির অভিযোগে মুমূর্ষ রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো। ঘটনাটি জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের। দুর্ঘটনা গ্রস্ত মুমূর্ষ রোগীকে সঠিক চিকিৎসা না দেওয়া রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। হাসপাতালে পুলিশ এবং চিকিৎসকদের বাক বিতন্ডা। এলাকায় চঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা যায় মৃত ওই ব্যক্তির নাম তাপস অধিকারী (৩৮ )। তার বাড়ি ময়নাগুড়ি ব্যাংকান্দি এলাকায়। পেশায় সে একজন রাজমিস্ত্রি। জানা গেছে, মৃত তাপস অধিকারীর বাবা অশ্বিনী অধিকারী চার দিন থেকে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শনিবার হাসপাতালে আসার কথা থাকলেও সে না এসে কাজে চলে যায় । সাইকেলে করে কাজে যোগ দিতে গিয়ে ময়নাগুড়ি জলপাইগুড়ি ৩১ নং জাতীয় সড়কের ধরলা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এরপর তাকে উদ্ধার করে ময়না গুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে নিয়ে এলে হাসপাতালের চিকিৎসক এবং কর্মীরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান নি বলে অভিযোগ। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ হাসপাতালে আসলে তাদের সাথেও বচসা শুরু হয় হাসপাতাল কর্মীদের। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই শুরু হয় উত্তেজনা। পরিবারের পক্ষ থেকে এই মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকের গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় রোগীকে নিয়ে আসলেও তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। বিনা চিকিৎসার কারণেই এই রোগীর মৃত্যু হল। মৃত ব্যক্তির দাদা ধীরেন অধিকারী বলেন, " আমি জানতাম না যে আমার ভাইয়ের এক্সিডেন্ট হয়েছে। আমি হাসপাতালে আমার বাবাকে নিয়ে চারদিন থেকে আছি। পরে হাসপাতালে চেঁচামেচি শুনে এগিয়ে এসে দেখি ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এখানকার চিকিৎসকরা কোনো কাজ করেন না। সময় মতো চিকিৎসা করলে আমার ভাই বেচেঁ যেতো কিন্তূ ওকে চিকিৎসক, নার্স কেউ ছুঁয়েও দেখেনি।" একই অভিযোগ তুলেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এম্বুলেন্সে করে রোগীকে নিয়ে পুলিশ আসলেও অনেকক্ষণ পর রোগীকে হাসপাতালে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন ঐ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। যদিও গাড়িতে আনার সময় সে জীবিত ছিল।" যদিও এই বিষয়ে ময়নাগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ লাকি দেওয়ানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোনের কোনো জবাব দেননি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

More News

Recent Comments