একসময় এই বিষহরি পুজো হতো কোচবিহারের ডাংগর আই মন্দির বা রাজ মাতা মন্দিরে, কিন্তু বর্তমানে এই আসর বসে কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে। কোচবিহারের রাজ ঐতিহ্য এবং পরম্পরায় মনসা দেবী বিষহরি রূপে পূজিত হন। প্রায় দুশো বছর পুরনো বিষহরি পুজোর সূচনা হলো বুধবার।
প্রায় দু’বছর পর মদনমোহন মন্দিরে মনসা পুজোয় বসতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী বিষহরি পালা গানের আসর। চারদিন ধরে মদনমোহন মন্দির চত্বরে ওই পালা গান চলবে। বিভিন্ন জায়গায় ওই পালাগান যাঁরা করবেন ইতিমধ্যে তাঁদের খোঁজ শুরু করেছে দেবত্র ট্রাস্ট কতৃপক্ষ। মনসা পুজো প্রায় ২০০ বছরের পুরানো। মদনমোহন মন্দির তৈরি হওয়ার আগে এই পুজো ডাঙরাই মন্দিরে হত। চারদিন ধরে এই পুজো হয়। এই পুজোতে মন্দিরের মালি অমর কুমার দেব চাঁদ সওদাগর রূপে বংশ পরম্পরায় বাঁ হাতে দেবী মনসাকে পুজো দিয়ে আসছেন। রাজ আমল থেকে এই প্রথা চলে আসছে। ভেটাগুড়ির শোলা শিল্পী ধীরেন্দ্র মালাকার বংশ পরম্পরায় মন্ডুষ তৈরি করে আসছেন। ১৮ ফুট সেই মন্ডুষটিতে চাঁদ সওদাগরের কাহিনী, বেহুলা-লক্ষ্মীন্দরের কাহিনী সহ তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি চারদিন ধরে পুজোতে চলবে ঐতিহ্যবাহী বিষহরি পালা গানের আসর। লুপ্তপ্রায় এই গানের আসরে ভিড় জমান স্থানীয় বহু মানুষ।