কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। বগটুইয়ে নিহতদের পরিবারের ১০ জনকে চাকরির নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কাজে যোগ দিতে এই দশজনের যাতে কোনওরকম কোনও সমস্যা না হয়, জেলাশাসককে তা দেখার নির্দেশ দিলেন তিনি।
২১ মার্চ বটুইয়ের ঘটনার পরই সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন মমতা । ঘটনায় আক্রান্তদের পরিবারের (Rampurhat Victim Family) হাতে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ তুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একইসঙ্গে পরিজনদের চাকরি দেওয়ার প্রস্তাবও দেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন, ১০ জনের পরিবারকে চাকরি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কোটা থেকে এই চাকরি দেওয়া হবে। প্রথম এক বছর অস্থায়ী চাকরি থাকবে তখন ১০ হাজার টাকা করে পাবেন সবাই। পরের বছরে চাকরি স্থায়ী করে দেওয়া হবে।
সে দিন শুধু বগটুইয়ের বাসিন্দাদের কাছেই নয়, বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের তোলা সব দাবিরও কার্যত জবাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। দল হিসেবে বিজেপি তো বটেই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলেছিলেন, ‘‘রাজ্যকে বলব দোষীরা যেন দ্রুত সাজা পায়।’’ সেই বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই ‘সুবিচার’-এর কথা শুনিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই তিনি কর্তব্যে অবহেলা করা পুলিশকর্মীদের কড়া নিন্দা করেন। একই সঙ্গে জেলা পুলিশকে নির্দেশ দেন, বগটুই গ্রামের বাড়িগুলিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনিরুলকে গ্রেফতার করতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘আমি চাই আনিরুল থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করুক। নইলে যেখান থেকে হোক তাকে গ্রেফতার করতে হবে।’’ সেখানেই না থেমে মমতা পুলিশকে নির্দেশ দেন, মামলা এমন ভাবে সাজাতে হবে, যাতে কোনও ভাবেই অভিযুক্তরা ছাড়া না পায়।