২১ জুলাইয়ের রাজনৈতিক তাৎপর্য:
তিনটি পৃথক আন্দোলন। পৃথক স্থান-কাল। কংগ্রেস নেত্রী থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো তারপর মুখ্যমন্ত্রী; মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতার শৃঙ্গারোহণের নেপথ্যে বারবার এসেছে বিতর্ক, এসেছে আন্দোলন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৯৩ সালে মহাকরণ অভিযানের অগ্নিগর্ভ পরিণতির পরেই কার্যত পৃথক আন্দোলনের সুর তুলতে শুরু করেন মমতা। কিন্তু কেন? ‘পরিচ্ছন্ন কংগ্রেসের’ যে ডাক তিনি দিয়েছিলেন তা কি পরিকল্পিত নয়? ২১ জুলাইয়ের মধ্যেই কি তৃণমূল তৈরির বীজ লুকিয়ে ছিল?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের অনুমান, ২১ জুলাইয়ের মহাকরণ অভিযানের একক নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা। আসলে সেই দিনেই পৃথক তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মের বীজ পোঁতা হয়েছিল। ওই আন্দোলন তৃণমূল সুপ্রিমোর রাজনৈতিক ইনিংসের প্রথম একক নেতৃত্বাধীন আন্দোলন। পরবর্তীতে যখন সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলন হয়, ততদিনে তৃণমূল পৃথক পরিচিতি লাভ তো করেছেই এমনকী খেটে খাওয়া ‘তৃণমূলী’ মানুষদের মনে জায়গা করতে পেরেছে। একুশের নির্বাচনেও ‘ঘরের লড়াইয়ে’ বেশি জোর দিয়েছে তৃণমূল। মহিলাদের অগ্রাধিকার, বিনামূল্যে রেশন, ‘দুয়ারে সরকার’-এর মতো কর্মসূচি জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। প্রতিবার এই আস্থা অর্জনই আসলে একধাপ করে এগিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। একুশ সালে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে হ্যাটট্রিক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের অদম্য ইচ্ছা শক্তি এবং জেদকে ধরে রেখেছেন তিনি। তাই হয়তো কোন প্রতিকূলতাই উনাকে আটকাতে পারেনি।