ময়নাগুড়ি, ৩১ জানুয়ারি : ময়নাগুড়ির দক্ষিণ মওয়ামারী গ্রামে রেল দুর্ঘটনার পর নাকি অশরীরী আত্মা তান্ডব করে বেড়াচ্ছে। এখনো বাকি রেলের বিভিন্ন কামরা থেকে ভেসে আসছে চিৎকারের আওয়াজ। আর এর সত্যতা যাচাই করতেই রাতে ঘটনাস্থলে এলেন ময়নাগুড়ির ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শুভ্র নন্দী। কিন্তু কোথায় ভূত? কোথায় চিৎকার? কোন কিছুই কিন্তু এদিন রাতে শোনা গেল না বা দেখা মিলল না। তাহলে কি এটা গ্রামবাসীদের নিছক একটা মনের ভুল। এটা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন চিহ্ন রয়ে গেল। গ্রামবাসীরা এখনো আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। কি হয়েছিল সেদিন রাত্রে বা কেন তাদের মনে এখনও ভয়?
গ্রামবাসীরা বলেন, রেল দুর্ঘটনার পর রাতে নিহতদের আত্মার রেলের কামরায় চিত্কার করছে। রাত হলেই নাকি সে চিৎকার শোনা যায়। বাঁচাও বাঁচাও আওয়াজ শোনা যায় রেলের কামরায় থেকে। যদিও বিজ্ঞান মঞ্চ সমস্ত কথা অস্বীকার করেছে। ময়নাগুড়ি ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বলেছেন ভূত বলে কিছুই নেই নিছক মানুষের একটি মনের ভুল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলের কর্মীরাও দাবি করেছেন, এখানে কিছু রয়েছে।
যুক্তিতর্ক অনেকেই থাকতে পারে তবে ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর মতে ভূত এখানে নেই। কেন গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্কও ছড়িয়েছে এই বিষয়ে ভিডিও বলেন, চোখের সামনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা দেখতে পেয়ে তারা আতঙ্কিত। সে কারণেই তাদের মনে ভয়ের সঞ্চার হয়েছে। ধীরে ধীরে তা কেটে যাবে।
যদিও গ্রামের একজনের দাবি, তিনি ১০০ দিনের কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ রেল লাইনের সামনে আসার পর তার শরীরে কাপুনি দেয়। আর তা থেকে জ্বর আসে। বর্তমানে তার কোমরের নীচ থেকে শরীরের অংশ কাজ করছে না। ওঝাকে তিনি দেখিয়েছেন। যদিও গ্রামের এক বাসিন্দা জানান ওই ট্রেনেটিতে থাকা কাঁচা মাছ, রান্না করে খেয়ে ওই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে জানান এ ব্যাপারে ময়নাগুড়ি ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শুভ্র নন্দী বলেন প্রয়োজনে এখানে মেডিকেল টিম পাঠানো হবে বলে জানান।
আতঙ্ক নয়, কুসংস্কারকে বিশ্বাস নয়! ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল নিয়ে বার্তা দিলেন ময়নাগুড়ির বিডিও
RELATED ARTICLES