ময়নাগুড়ি , ১৩ জুলাই : ধুপগুড়ি পৌরসভার ময়দানে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার কর্মীসভা করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সেই সভায় যোগদান করবার পূর্বে হঠাৎই কনভয় থেকে নেমে পড়েন তিনি। ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমোহনি পুরাতন বাজারে নেমে বাজারের দুর্দশা পরিদর্শন করেন। ব্যবসায়ী সমিতি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে অভাব অভিযোগ শোনেন। সেখান থেকেই ফোন করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মনকে। তারপর মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে পড়েন ধুপগুড়ির উদ্দেশ্যে। কিন্তু তারই মাঝে দোমোহনি বাজার সংলগ্ন এলাকায় স্নেহাশীষ সাহার বাড়িতে চা পানের জন্য বিশ্রাম করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদকে এতটা কাছে পেয়ে আপ্যায়নের ত্রুটি রাখেননি স্নেহাশীষ বাবু। চা পানের সময় আলাপচারিতায় স্নেহাশীষ বাবুর সমস্যা তুলে ধরেন অভিষেকের কাছে। স্নেহাশীষ বাবুর শারীরিক সমস্যার জন্য চিকিৎসা করাতে যেতে হয় বাইরের রাজ্যে। আর্থিক সংকটে চিকিৎসা করাতে পারেন না সেই বিষয়ে জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে। এমনকি পরিবারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এখনো হয়নি বলেও তিনি জানান। এই বিষয়ে শোনা মাত্রই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দ্রুত তৈরি করার জন্য অভিষেকের পিএ সমস্ত তথ্য লিপিবদ্ধ করে নেন। যাতে দ্রুত তারা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হাতে পান এবং লক্ষীর ভান্ডার আবেদন করতে পারেন। সাংসদের হঠাৎ চা পানে স্নেহাশীষ বাবুর বাড়িতে প্রবেশ করায় গর্বিত বোধ মনে করেন স্নেহাশীষ সাহা। তিনি বলেন,"অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাজার পরিদর্শন করেন এরপর তার দেহরক্ষী আমাদের বাড়ি আসেন এবং চা পান করানোর বিষয়টি জানান। তারপরেই কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের বাড়ি আসেন এবং চা পান করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর মত মানুষ আমাদের বাড়িতে এসেছেন এতে আমি সৌভাগ্যবান মনে করি।"স্নেহাশীষ বাবুর স্ত্রী মৌসুমী সাহা বলেন,"অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে টিভিতে অনেক দেখেছি। তিনি এত ভালো মনের মানুষ তা সাক্ষাতে অনেকটা বুঝতে পারলাম। আমাদের বাড়ির সমস্যার কথা তিনি শোনেন এবং তা সুরাহার জন্যও আশ্বাস দেন।
অভিষেক কে কাছে পেয়ে নিজের সমস্যার কথা জানালেন স্নেহাশীষ সাহা
RELATED ARTICLES