নিজস্ব প্রতিনিধি:
বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একের পরে এক বন্যা লেগেই রয়েছে। রবি শস্যের ক্ষতি চাষিদের মাথায় বোঝা বাড়িয়ে দিল। শুধু ধানচাষীই নয়, আলু চাষ ও নষ্ট হতে বসেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা এলাকায়।
কৃষি প্রধান জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর। কৃষির উপর নির্ভর করে এই এলাকার কৃষকদের সংসার চলে সারা বছর। জেলার সব থেকে বেশি আলু চাষ হয় গড়বেতা ব্লকে। আর অতি বৃষ্টির জেরে রেশন আলু কার্যত নষ্টের মুখে।
গড়বেতা ব্লকের উড়িয়াসাই গ্রামের সুশান্ত কুমার দোলুই জানান বৃষ্টির জন্য তার ছয় থেকে সাত বিঘা জমি ভেসে গিয়েছে। ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছিল সুশান্তবাবু, তাই জমিতে আলু যদি না হয় কিভাবে ঋণ শোধ করবেন ভেবে পাচ্ছেন না তিনি।
আরও এক চাষী অনুপ পাড়ই জানান, জমিতে জল দাঁড়িয়ে থাকার কারণে আলু একেবারে নষ্ট হতে বসেছে। সরকার যদি ঋণ ছাড় করে বা কিছু সাহায্য দেয় তাহলেই সারাবছর সংসার চালানো সম্ভব।
এভাবেই অতিবৃষ্টির কারণে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গরবেতা সহ বিভিন্ন এলাকার আলু চাষের অবস্থা শোচনীয়। যদি দু-তিন দিনের মধ্যে আবহাওয়া ঠিক হয়ে পুনরায় চাষাবাদ করা যায় তাহলে সংসার চালাতে পারবেন এলাকার কৃষকরা।
চাষাবাদ যদি সঠিক টাইমে না হয় আলুর ফলন হবে না। আলুর ফলন কমে গেলে মাথায় হাত পড়বে আমজনতার। সারা দিনের সংসারী প্রত্যেকটি খাবারের সাথে আলু কমন। তাই আলু চাষের ক্ষতি যেমন একদিকে কৃষকদের সমস্যায় ফেলেছে ঠিক তেমনি আমজনতা মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে।