ময়নাগুড়ি, ৩১ মে : লকডাউনের জেরে নাজেহাল মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। বিক্রির অভাবে নষ্ট হচ্ছে তৈরি করা মিষ্টি। তাই সেই মিষ্টি ফেলে দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ময়নাগুড়ির টেকাটুলি বাজারের এক মিষ্টি ব্যবসায়ী অমিত মোদক। এই অবস্থায় মিষ্টি ব্যবসায়ীর প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি জানিয়েছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।
রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে জারি করা হয়েছে লকডাউন। আর তা ইতিমধ্যে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়েছে। লকডাউন চলবে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত। এই লকডাউনে মিষ্টি দোকান খোলার অনুমতি জারি করেছে সকাল দশটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত। কিন্তূ দোকান খোলা থাকলেও বিক্রি একদম নেই বলেই অভিযোগ মিষ্টি ব্যবসায়ীদের। তাদের অভিযোগ, সকাল সাতটা থেকে দশটা পর্যন্ত হাট বাজার খোলার অনুমতি রয়েছে আর সে সময় মিষ্টির দোকান বন্ধ। আর যে সময় মিষ্টির দোকান খোলার অনুমতি রয়েছে তখন কার্যত হাট বাজার জন মানব শূণ্য থাকে। ফলে দোকান খোলা থাকলেও বিক্রি নেই মিষ্টি জাতীয় সামগ্রীর। অন্যদিকে এক একটি মিষ্টির দোকানে একজন দুজন কর্মী থাকেন তাদের খরচ যোগাতেও হিমশিম খাচ্ছেন দোকান মালিকরা। প্রতিদিন কাঁচামাল হিসাবে প্রতিদিন কয়েক লিটার দুধ কিনে মিষ্টি বানাতে হয়। কিন্তূ মিষ্টি বিক্রি না হওয়ায় প্রায় প্রতিদিন লোকসানের মুখে পড়তে হয় তাদের। টেকাটুলি বাজারের মিষ্টি ব্যবসায়ী অমিত মোদক বলেন, " প্রায় তিন হাজার টাকার মিষ্টি ফেলে দিলাম। এরকম প্রতিদিন ফেলে দিতে হয় আমাকে। আজকে থেকে দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দোকানে দুজন কর্মচারী আছেন তাদের খরচ দিতে হয় নিজের পকেট থেকে। মিষ্টির বিক্রি একদম নেই। এই অবস্থায় সরকার একটু দৃষ্টি আকর্ষণ করুক এটাই দাবি জানাই।"