নিউজ ডেস্ক:
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘোষণা করা হল গুজরাটের নয়া মুখ্যমন্ত্রীর নাম। BJP শাসিত এই রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হলেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল ( Bhupendra Patel)। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিই তাঁর নাম প্রস্তাব করেছেন। রবিবার গুজরাটের BJP-র শীর্ষ নেতৃত্বের একটি বৈঠক হয়। সেখানেই ভূপেন্দ্র প্যাটেলের নামে সিলমোহর পড়ে। শনিবারই মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিজয় রূপানি। সোমবার শপথ নেবেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, শনিবার আচমকাই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিজয় রুপানি। ২০২২ সালেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আচমকা মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। ফলে এই রাজ্যে নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছিল।জানা গিয়েছিল, নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করার জন্য এদিন একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। দলের তরফে গুজরাটে পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারকেও। তাঁর নেতৃত্বেই বৈঠক চলে এদিন। ছিলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক প্রহ্লাদ যোশীও। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের বর্ষীয়ান দুই নেতা ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং বি এল সন্তোষ। একাধিক নাম নিয়ে জল্পনা চললেও শেষ পর্যন্ত প্রথমবারের বিধায়ক ভূপেন্দ্র প্যাটেলের নামই চূড়ান্ত হয়। বেশ কয়েকজনের নাম নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছিল দলের অন্দরে। তালিকায় ছিলেন পুরুষোত্তম রূপালা, উপ -মুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যও। বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান ছিল, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সবথেকে এগিয়ে রয়েছেন মনসুখ মাণ্ডব্য।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে গুজরাটের এই পালাবদল কার্যত অবাক করেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। কেন আচমকা বিজয় রূপানি পদত্যাগ করলেন সে সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনও বিস্তারিত বিবৃতি দেয়নি গেরুয়া শিবির। যদিও সামনেই গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে BJP-কে নিজের ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াইও অব্যহত রাখতে হবে গুজরাটে। ফলে যিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তাঁকেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, পদত্যাগ করার পর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দলের কার্যকর্তাদের দায়িত্ব বদলে হয়। আমি দলের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলাম। আমি BJP এর ন্যাশনাল প্রেসিডেন্টের অধীনে থেকে কাজ শুরু করব।’ এদিকে, রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন রুপানির কাজে সন্তুষ্ট ছিলেন না মোদী শাহ। যদিও এইসব যাবতীয় জল্পনা নিছক গুজব বলে দাবি BJP-র। তবে এই পদত্যাগ নিয়ে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ শুরু করেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতাদের একাংশের কথায়, ‘রিমোট কন্ট্রোল সরকারের ব্যর্থতা আড়াল করতে রুপানিকে ব্যবহার করা হয়েছে।’ এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা হার্দিক প্যাটেল বলেন, ‘BJP গুজরাটে সরকার চালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানির পদত্যাগের পর তা এখন আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে।’