তিনি বরাবরই কর্তব্যপরায়ণ। কোনও ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে কখনও রাষ্ট্রপ্রধানের কর্তব্যে প্রভাব ফেলতে দেননি। এবার মাতৃ বিয়োগের পর তিনি কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি বাতিল করলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভার্চুয়ালের মাধ্যমেই সমস্ত অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। নির্ধারিত কর্মসূচির কোনওটাই বাতিল হচ্ছে না। গান্ধীনগরে মায়ের শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার পর সেখান থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন-সহ একাধিক প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় দমদম বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী সফরসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল। বেলা ১১টা নাগাদ হাওড়া স্টেশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনই এদিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে খবর, তা হবে নির্ধারিত সময়েই। ভিডিও কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন মোদি। এদিকে স্টেশনে সশরীরে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রেলমন্ত্রী অশ্বিণী বৈষ্ণব-সহ আমন্ত্রিত অতিথিরা। এই তালিকায় রয়েছেন সাংসদ, বিধায়ক, বিজেপি নেতারাও।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনের পর জোকা-তারাতলা মেট্রোপথে সূচনা হবে প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতেই। গান্ধীনগর থেকে রিমোটে তিনি উদ্বোধন করবেন কলকাতার নয়া মেট্রোপথের। এরপর সাড়ে ১১টা নাগাদ হেস্টিংসের আইএনএস নেতাজিতে গঙ্গা পরিষদের বৈঠকেও ভারচুয়ালি যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে মিলেছে এই খবর। গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ৫ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরা সকলে শুক্রবার রাতেই কলকাতায় চলে এসেছেন। অর্থাৎ মায়ের আকস্মিক মৃত্যুতে পূর্ব নির্ধারিত কোনও কর্মসূচি বাতিল হল না।
তিনি বরাবরই কর্তব্যপরায়ণ সেটা আরো একবার প্রমাণিত হল।