Uttorer Sangbad :- কোচবিহারঃ
দীর্ঘদিন থেকেই কোচবিহার পৌরসভা রয়েছে খবরের শিরোনামে, কখনো আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, কখনো আবার পৌর প্রশাসক মনোমালিন্য। এইসবের ঊর্ধ্বে শুক্রবার কোচবিহার পৌরসভার পৌর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য শৈলেন্দ্র প্রসাদ সাহু এর বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ তুলে অফিসের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে কোচবিহার পৌরসভার কর্মীরা।
More News –করোনা আক্রান্ত সন্তানসম্ভবা অ্যাম্বুলেন্স না মেলায় হাসপাতাল চত্বরেই জন্ম দিলেন শিশুর
অভিযোগ টেলিফোনে শৈলেন্দ্র প্রসাদ বাবু কোচবিহার পৌরসভার সেনেটারী অফিসার বিশ্বজিৎ রায় কে হুমকি দিয়েছেন, চেয়ার থাকবে না বলে। এবং সেইসাথে পৌরসভার ভেতরে ঢুকে সবকিছু ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ।শুক্রবার সকালে এই ঘটনায় কার্যত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর পৌর এলাকায়। বিশ্বজিৎ বাবু বলেন, কোচবিহার 6 নাম্বার ওয়ার্ড অবস্থিত একটি ড্রেন পরিস্কার কে কেন্দ্র করে এই হুমকি দিয়েছেন শৈলেন বাবু।
কোচবিহার পৌরসভার পৌর প্রশাসক বোর্ডের সদস্যের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ
বিশ্বজিৎ বাবু আরো বলেন, যে ড্রেন টি পরিষ্কার করার কথা বলা হচ্ছে সেটি করতে গেলে বাইরে থেকে শ্রমিক নিতে হবে। চেয়ারম্যান সাহেব নেই, তাই সে ক্ষেত্রে অর্থের একটু সমস্যা রয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেব ফিরলেই পরিষ্কার করে দেওয়া হবে।অভিযোগ এই কথা মানতে নারাজ শৈলেন বাবু এদিন টেলিফোনের মাধ্যমে হুমকি দেন বিশ্বজিৎ বাবু কে। অপমান হয়েছেন তিনি। তিনি দুঃখ করে বলেন, করণা পরিস্থিতিতে পঁয়ত্রিশটি মৃতদেহ সঙ্গে তিনি ছিলেন। পৌর এলাকায় কোথাও কোনো সমস্যা হলে তিনি ছুটে যান, আজ তাকেই হুমকির সম্মুখীন হতে হলো।
তার এই অপমানের বিরুদ্ধে কোচবিহার মিউনিসিপাল ওয়ার্কার অ্যাসোসিয়েশন (তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত) পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান।তাদের তরফ থেকে একটি স্মারকলিপি কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার, কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং কোচবিহার পৌরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক দের হাতে তুলে দেওয়া হয়।সেই সাথে একদিনের কর্মবিরতি ও পালন করে পৌর কর্মীরা। পাশাপাশি হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শৈলেন্দ্র প্রসাদ সাহু। তিনি বলেন দীর্ঘদিন থেকে একটি নর্দমা পরিষ্কার করার কথা বলা হচ্ছে, বিভিন্ন তাল বানায় সেই কাজটি হচ্ছে না। তাই তিনি কাজটি করার জন্যে ফোন করেছিলেন।
More News –হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করে মালিকদের হাতে তুলে দিল দিনহাটা থানার পুলিশ
চেয়ারম্যান না থাকলে কি কাজ হবে না, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তার কথায় তারাও রয়েছেন প্রশাসক বোর্ডে। তাই তাদের কথা তে কাজ করতে হবে কর্মীদের। একইসঙ্গে তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় এক মাস থেকে পৌরবোর্ড এর বোর্ড সদস্য হয়েও কোন রকম কাজ তাদেরকে করতে দিচ্ছে না। কোচবিহার পৌর এলাকার পৌর পরিষেবা বেহাল হয়ে পড়েছে। সেই কারণেই পৌর পরিষেবা চালু করতে তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন।