কনক অধিকারী
জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি ব্লকের ঝাড় আলতা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন বনবস্তি ঢোকার একমাত্র ভরসা নোনাই নদীর উপর ব্রিজ । এই ব্রিজের মুখ জলের তলায় চলে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের আশঙ্কা ছিল। আর তার বাস্তব রূপ গতকাল আমরা দেখিয়েছিলাম। নদী গর্ভে বিলীন হয়ে একেবারে তিন বনবস্তি সহ সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এলাকার মানুষজন কোনভাবে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপার করছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।
ঠিক এর পাশাপাশি নোনাই নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন তাদের ভিটেমাটি নদী গর্ভে হারিয়ে রাতের ঘুম ভেঙে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ঝার আলতা দুই নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য খট্টিমারি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছে। আজ আবার রাতভর বৃষ্টি হলে বসতবাড়ি একেবারে নদী গর্ভে চলে যাবে। অভিযোগ প্রধান পঞ্চায়েতকে জানিও এখনো পর্যন্ত কারো দেখা মেলেনি। যদিও এদিন ঘটনাস্থলে পার্শ্ববতী গ্রাম পঞ্চায়েতের নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দ্রুত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। ব্লক প্রশাসনকে জানিয়ে সাময়িক সুরাহার দাবি পঞ্চায়েত সদস্যের। একদিকে অসহায় মানুষের দুঃখ যন্ত্রণা চিত্র তার পাশাপাশি ভোট পরবর্তী মানুষের পাশে নেতা-মন্ত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর অনীহার চিত্র ফুটে উঠছে।