গৃহবধূকে মারধোর করে গয়না ছিনতাইয়ের অভিযোগ ভাসুরের বিরুদ্ধে, অভিযোগ দায়ের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধেও
ময়নাগুড়ি
: এক গৃহবধূকে মারধোর করে তার গলার সোনার গয়না ছিনতাই করে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের হল ময়নাগুড়ি থানায়। অভিযোগের তীর নিজের ভাসুর, মামা শ্বশুর সহ বিজেপির জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। এই বিষয় নিয়ে ময়নাগুড়ি থানার দ্বারস্থ হয়েছেন সুষমা রায় নামের ওই গৃহবধূ। এমনই ঘটনা ময়নাগুড়ি ব্লকের রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজলদিঘি বুচ্চার টারি এলাকায়। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।
জানা গেছে, ময়নাগুড়ি শহরে ভাড়া থাকেন সুষমা রায় নামের এক গৃহবধূ। যার পুরানা বাড়ি রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজল দিঘি এলাকায়। অভিযোগের সূত্র ধরে জানা যায়, গত ১১ আগস্ট গৃহবধূ তার এক সন্তানকে নিয়ে জমি জমা দেখতে যান। সেই সময় তাদের পুরনো বাড়ির ঘরের মধ্যে সমস্ত জিনিস লন্ড ভন্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি বিষয়টি জানতে চাইলে দেখেন গৃহবধুর ভাসুর অজিত রায় এর ঘরের মধ্যে জিনিসপত্র রয়েছে। এরপর সেখানে তার সাথে ভাসুরের বচসা বাঁধে বলে অভিযোগ। বাড়ি থেকে বের করে দেন বলেও জানিয়েছেন ওই গৃহবধূ। সেই সময় স্থানীয় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য চন্দ্র মোহন রায় এবং মামা শ্বশুর আনন্দ রায়ের উস্কানিতে তার ভাসুর গৃহবধূকে মারধোর করে বলেও অভিযোগ। সেই সময় গলায় থাকা সোনার গয়না ছিনতাই করে নিয়েছেন। এই অবস্থায় প্রাণে বেচেঁ কোনক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে ময়নাগুড়ি থানায় এসে অভিযোগ জমা করেন সুষমা রায় নামের ওই গৃহবধূ। সেই গৃহবধূ সুষমা রায় বলেন, “আমার স্বামী বাইরে চাকরি করেন। আমি ময়নাগুড়িতে ভাড়া থাকি। আমাদের ভাগের জমি দেখতে গিয়ে আমাকে মারধোর করে আমার ভাসুর। আমাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। কোনক্রমে পালিয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছি।”এদিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গৃহবধুর ভাসুর অজিত রায়। তিনি বলেন, " হ্যাঁ আমাদের বাড়ি এসে আমাদের বাড়ির উপর বাড়ি করতে চেয়েছে। এই নিয়ে সামান্য তর্ক হয়েছিল। এর বেশি কিছুই হয়নি। উপরন্তু যা শুনলাম যে এক বিজেপির পঞ্চায়েতের নাম দিয়েছে এই ঘটনায়। তাকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না। তার সাথে আমার কোনদিন দেখা হয়নি।"