Sunday, April 28, 2024
Homeরাজনীতিকংগ্রেস বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছে, ঘুরে দাঁড়ানোর সদিচ্ছা নেই: কুণাল ঘোষ

কংগ্রেস বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছে, ঘুরে দাঁড়ানোর সদিচ্ছা নেই: কুণাল ঘোষ

বিজেপি বিরোধী গড়ে তোলার প্রশ্নে কংগ্রেস ব্যর্থ হয়েছে। তাদের ব্যর্থতার জন্য বিজেপি সুবিধা পেয়েছে। কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো সদিচ্ছা নেই। পরোক্ষে কংগ্রেস বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছে। আমরা কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোটের কথা বলিনি। একটা নিয়মনীতি, স্টিয়ারিং কমিটি, যৌথ কর্মসূচী রাখা উচিত। কিন্তু কংগ্রেস শীত ঘুম ভেঙে বেরোয়নি। মমতা বন্দোপাধ্যায় তাই এক মঞ্চের কথা বলেন। তিনি একজোট হওয়ার কথা বলেছিলেন। সেটাই বাকিদের মধ্যে প্রতিফলিত হচ্ছে। এই আলোচনা যত বেশি সম্প্রসারিত হবে তত ভালো।
গ্রুপ ডি নিয়ে সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন
বিকল্প প্রধানমন্ত্রী নিয়ে আমরা ভাবিত নই। তৃণমূল বিকল্প ভরকেন্দ্র হচ্ছে।
এই দেশ বিজেপির হাতে সুরক্ষিত নয়৷ এই দেশের নাগরিকদের জীবন বিপন্ন। আর্থিক বোঝা বাড়ছে। সার, ওষুধ, টোল ট্যাক্স, বাণিজ্যিক সিলিন্ডার দাম বাড়ছে। সংসদের ভিতরে-বাইরে তাই টিএমসি প্রতিবাদের রাস্তায় থাকছে।
মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত বিজেপি হয়রানি করছে যারা আন্দোলন করছে।
জ্বালানির মজুত থাকা নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে। রাশিয়া তেল দেবে কিনা, আর দিলে আমেরিকা কি ভাববে সেই টানাপোড়েন দেশ চলছে। ভারতবর্ষকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দিতে চাইছে মোদী সরকার।
বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে তাই।
ডিভিশন বেঞ্চের রায় দেখেছি। তবে এই মামলার প্রতিটি ধাপে নানা বিষয় আছে। বিচারাধীন বিষয়ে বক্তব্য রাখা উচিত নয়। তবে যে বিতর্কের অংশ তৈরি হয়েছিল তা যথাযথ নয়। অনিয়ম-ত্রুটি থাকলে তা ঠিক নয়। এত বড় সিস্টেমে ১-২% ত্রুটি থাকাও ঠিক নয়। তবে এটা নিয়ে যারা রাজনীতি করছেন সেটা বিচার-বিবেচনা করা দরকার।
দেব এর মন্তব্য – রাজ্যের নাম খারাপ করার জন্যই তো বৃহত্তর ষড়যন্ত্র করছে। যাদের পক্ষে মানুষের রায় যাচ্ছে না। তারাই বাংলায় বদনাম করছেন।।
পাড়ার মানুষ সচেতন বলেই তো সিপিএমের হাত থেকে বাংলাকে মুক্ত করেছেন। সিপিএমের কথায় বিশ্বাসযোগ্যতা বলে কিছু নেই। এই সিপিএমকে বাংলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। দিদিকে বলোকে নকল করেছে। যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন দলকে বলো করোনি কেন?
মতুয়া – তাদের সাথে তৃণমূলের শত্রুতা নেই। বীনাপাণি দেবী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ভালোবাসতেন। বিজেপি বিভ্রান্ত করছেন তাদের। কোনও বিরোধ, হামলা মতুয়াদের ওপর করবে না তৃণমূল।
অনুব্রত মন্ডল বড় নেতা তাকে নিয়ে কিছু বলবে না।
এখন সিপিএম দুটো। কোন সিপিএমকে মানুষ বলবে সুজন সিপিএম না সেলিম সিপিএম।
রাম নবমী – ধর্ম যার যার। সমস্যা এটাই বিজেপির, রামকে ওনারা নেতা বা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে দেখেন। গণতান্ত্রিক দেশ, সব দল সব করবে। কিন্তু সন্ত্রাস, হিংসা নয়। রাম তো কোথাও বলে জাননি তিনি এজেন্সি দিয়েছেন।
দিয়োগো মারাদোনার নাম এনেছে সিপিএমের যুব সম্মেলনে। তাদের এক এমপি এনেছিলেন তাকে। তারপর সেই সাংসদ হেরে ভূত হয়েছেন। সবাইকে বাদ দিয়ে দিয়েগো মারাদোনা নগর নাম দিয়েছে। এটা হাস্যকর। দেশের মণিষীদের নাম তো নেয়না।
রামপুরহাট নিয়ে দল যা যা তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে। দায়িত্বশীল দল হিসাবেই কাজ করছে। দলকে বদনাম করতেই এই বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
বিজেপির কার কি মুখ বদলাচ্ছে তা নিয়ে ইন্টারেস্ট নেই। ওনাদের তো আবার বাইরে থেকে আনতে হবে। এখানে কেউ নেই।
পিএম নিশ্চিত নন, তার সাথে বৈঠক করা সাংসদরা ছয় মাস পরে কোথায় থাকবেন। মিটিং হলেই টিএমসি বলে দেবে ওখানে কি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ওদের সাংসদরা তো আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

More News

Recent Comments