মাথাভাঙ্গা: গত 10 এপ্রিল চতুর্থ দফার নির্বাচনে শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের 5/126 নং বুথে সিআইএসএফ এর গুলিতে 4 জন নিহত হন।তারপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই খুনের ঘটনার সিআইডি তদন্ত এর আশ্বাস দেন। সেই মোতাবেক গত 17 ই মে সিআইডির ডিআইজি কল্যাণ মুখোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল ওই পথে এসে ঘটনার পুনঃ নির্মাণ করেন। সেই তদন্তে ভেসে আসছে বাইরে থেকে গুলি ভেদ করে স্কুল ঘরের ভেতরে ব্ল্যাকবোর্ডে গিয়ে লাগে। তাই কি করে গুলি হলো কেন হলো কিভাবে হলো গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সিআইডির ফরেনসিক দলের তিন সদস্যের একটি টিম শীতলকুচির আমতলী এমএসকে সেন্টারে কয়েকঘণ্টা তদন্ত চালান। এখন ব্যালিস্টিক টিম ইনচার্জ ডক্টর চিত্রাক্ষ সরকার (অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর) এর নেতৃত্বে পুরো ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হয়। সম্পূর্ণ বিষয়ের এর রিপোর্ট তৈরি করবে ফরেনসিক টিম সংবাদমাধ্যমকে একথা জানান ইনচার্জ।
প্রসঙ্গত দশম এপ্রিল কর্তব্যরত কেন্দ্রীয় বাহিনী ছয়জনকে সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল কিন্তু সিআইডি দপ্তরে কেন্দ্রীয় বাহিনী হাজিরা দেন নি। সিআইডি সূত্রে জানা গেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী নাকি তদন্ত এর ক্ষেত্রে অসহযোগিতা করছে। যদিওবা নবান্নের নির্দেশে তৎপর সিআইডি নিজের কাজ বহাল তবিয়তে করে যাচ্ছেন। অদূর ভবিষ্যতেই গোটা বিষয়টি খোলসা করে জানাতে সক্ষম হবে সিআইডি বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
সিআইডি তদন্ত কে কটাক্ষ করেন জেলা বিজেপির সভানেত্রী তথা তুফানগঞ্জ এর বিধায়ক মালতি রাভা রায়। তিনি শীতলকুচি ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন। অপরদিকে জেলা আক্রমণ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল আহমেদ মন্তব্য করে বলেন, শীতলকুচি এর কান্ড সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিআইডি তদন্তের মাধ্যমে তা মানুষের সামনে উপস্থাপিত হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সিআইডি তদন্ত এর উপরে সম্পূর্ণ আস্থা রাখছি।