নদীয়া :নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের কুমারপুর গ্রামের বাসিন্দা শংকর বিশ্বাস । কৃষিকাজই যার একমাত্র জীবিকা। করোনার প্রকোপে অন্যান্য কাজ সবই বন্ধ। তিন ছেলে স্বামী স্ত্রী নিয়ে সংসার ।ব্যাঙ্ক থেকে দেড় লক্ষ টাকা রিন নিয়ে পটল চাষ করেন শঙ্কর বাবু ।সম্বল বলতে মাঠে সামান্য একটু জমি। সেই এক বিঘা জমিতে করেছিলেন পটলের চাষ। আশা ছিল পটল বিক্রি করে তার পরিবারের সদস্য দের মুখে হাসি ফোটাবেন। কিন্তু প্রতিবেশীর চোখরাঙানি হলো তার কাল। তিনি মঙ্গলবার মাঠে নিজের জমিতে কাজ করছিলেন। সেইসময় প্রতিবেশীর ছাগলের পাল পটলের জমির ভেতরে চলে আসে, তিনি প্রতিবেশীকে বলেন ছাগল গুলো সরিয়ে নিয়ে যাবার জন্য ।এতে প্রতিবেশী ক্ষুব্ধ হন এবং তার সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। শঙ্কর বাবু বলেন এক সময় রাগবশত প্রতিবেশী তাকে হুমকি দেন তার এই পটলের ক্ষেত নষ্ট করে দেবেন। তিনি বিষয়টি সেভাবে আর ভেবে দেখেননি । ভেবেছিলেন শুধুমাত্র কথার কথা। তিনদিন পর সকালবেলা জমিতে পটল তুলতে গিয়ে দেখতে পান তার পটলের খেত সম্পূর্ণ কেটে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করা।তিনি আর তার পরিবারের সদস্যরা হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন ।অবশেষে পাড়া-প্রতিবেশীর সহযোগিতায় কৃষ্ণগঞ্জ থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। শঙ্কর বাবু আক্ষেপের সুরে জানান , প্রতিবেশীর রাজনৈতিক প্রভাব থাকার দরুন পুলিশ তদন্ত করতে ও আসেনি । প্রতিবেশীরাও ক্ষোভ উগরে দেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ।চারদিন হলেও এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ বলে ক্ষোভ উগরে দেন বিশ্বাস পরিবার ।গোটা পরিবারের একমাত্র আয়ের শেষ সম্বল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তারা আজ দিশেহারা। কৃষ্ণগঞ্জ এফ,পি,সির সভাপতি বিদ্যুৎ বিশ্বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের উপর খোব উগরে দেন । অবিলম্বে দুষ্কৃতী কে গ্রেফতার করার দাবি জানান অন্যথায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্ত ঘটনা জানাবেন বলে জানান ।
বচসার জেরে এক ব্যক্তির ফলন্ত পটলখেত কেটে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে
RELATED ARTICLES