ভারতবর্ষে বিজেপির গেরুয়া পতাকা উড়ছে। বাংলাতেও ওড়াব। শিকড় গভীরে চলে গিয়েছে। উপড়ানো মুশকিল।’

নন্দীগ্রাম দিবসে করপল্লির শহিদ বেদীতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সকালে ওই বেদীতেই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন দোলা সেন, কুণাল ঘোষ, তাপস রায়, জয়া দত্ত সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বরা। এদিন বিকেলে ওই বেদী গঙ্গাজলে ধুয়ে তারপর সেখানে আসেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, ‘BJP না থাকলে কোনওভাবেই কি সেদিন নন্দীগ্রামে ঢোকা যেত? লালকৃষ্ণ আদবানী না এলে, কেউ এখানে ঢুকতে পারত না। আমি নিজে ১৫ তারিখ সকালবেলা রূপনারায়ণ নদের চর দিয়ে পেরিয়ে ট্রেকারের জানলা বন্ধ করে নন্দীগ্রামে এসেছিলাম। সকালে বেরিয়ে দুপুর হয়ে গিয়েছিল ঘুরপথে এখানে পৌঁছতে। তৎকালীন বিরোধী দলনেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিং, সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া সহ BJP নেতারা সে সময় SPG দিয়ে অবরোধ তুলতে তুলতে এখানে এসেছিলেন। তৃণমূলের তরফ থেকে সেদিন তিনজন ছিল তাঁদের সঙ্গে। আমি, আমার পিতৃদেব (শিশির অধিকারী) এবং দীনেশ ত্রিবেদী। আজ আমিও BJP-তে, দীনেশ ত্রিবেদীও। মনে রাখবেন, সে সময় ৬২ দিন BJP-র সাংসদরা লোকসভা অচল করে দিয়েছিল।’

সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘নেপোয় মারে দই, তাই না? চকলেট আর স্যান্ডুইচ খেয়ে অনশনের নাটক মনে নেই? সে সময় শরবত খাইয়েছিলেন এই রাজনাথ সিং-ই।’

পুরভোটের আগে তৃণমূল সরকারকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘আমি লক্ষণ শেঠকে হারিয়েছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও হারিয়েছি। আমি জানি কী ভাবে এঁদের সোজা করতে হয়। CPIM কেও সোজা করেছি। আগেও জিতেছি ভবিষ্যতেও জিতব। সবাইকে এককাট্টা হয়ে লড়তে হবে। খেজুরি ও নন্দীগ্রামকে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে। সকলে একসঙ্গে থাকুন। ঐক্যবদ্ধভাবেই আমাদের লড়াই চলছে, আর চলবে। ভারতবর্ষে BJP-র গেরুয়া পতাকা উড়ছে। বাংলাতেও ওড়াব। শিকড় গভীরে চলে গিয়েছে। উপড়ানো মুশকিল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *