থানায় কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারের দুটো কিডনিই খারাপ। চিকিৎসা না করালে আর বাঁচার আশা নেই। কিন্তু আর্থিক পরিস্থিতির জেরে এত দামী চিকিৎসা করার জো নেই। সেই অবস্থায় মানবিকতার হাত বাড়ালেন থানার ওসি। কিডনি প্রতিস্থাপনের যাবতীয় দায়িত্ব নিলেন তিনি। হুগলির গোঘাট থানার ঘটনা। ওসি-র সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেন গ্রামের সবাই।
গোঘাট থানার সিভিক ভলান্টিয়ার রাজীব কুন্ডু। বাড়ি গোঘাটের সাতবেড়িয়া গ্রামে। বাবা বিষ্ণুপদ কুন্ডু কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। মা বনমালী কুন্ডু দৃষ্টিহীন। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে রাজীব। কিন্তু তাঁর দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। চিকিৎসক বলেছেন, কিডনি বদল না করলে আর বাঁচার আশা নেই। কিন্তু তার জন্য অনেক অর্থ চাই। সেকথা শুনেছেন গোঘাট থানার ওসি অনিল রাজ।
পদোন্নতি হয়ে গোঘাট থেকে তারকেশ্বর থানায় বদলি হয়েছেন ওই ওসি। মঙ্গলবার তাঁর ফেয়ারওয়েল ছিল। সেখানে জানতে পারেন, রাজীবকে বাঁচাতে তাঁর মা একটি কিডনি দান করতে চান। সেকথা জানতে পেরে উদ্যোগী হন ওসি। কিডনি প্রতিস্থাপন করা থেকে শুরু করে যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার আশ্বাস দেন তিনি।
সেই কথামতো আজ রাজীবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওসি। ভরসা দেন পাশে থাকার। কলকাতার মুকুন্দপুরে এক বেসরকারী হাসপাতালে যোগাযোগ করে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে দেন তিনি। ওসির চেষ্টাতেই অন্যান্য পুলিস অফিসাররাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তাঁর এই মানবিক উদ্যোগে খুবই খুশি রাজীবের পরিবার।