আলিপুরদুয়ারঃ কোভিভ পরিস্থিতিতেও ফের কামাল করলো আলিপুরদুয়ার জেলা। ১০০ দিনের প্রকল্পে শেষ অবদি নজির তৈরি করে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে জেলা। রাজ্যের ২৩ টি জেলার মধ্যে একমাত্র পশ্চিম বর্ধমান আলিপুরদুয়ার থেকে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। আলিপুরদুয়ারের ঠিক পরেই রয়েছে বাঁকুড়া জেলা। উল্লেখ্য, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। তবে এরমধ্যেই উত্তরবঙ্গের বাকি সবকটি জেলাকে অনেকটাই পেছনে ফেলে দিয়েছে আলিপুরদুয়ার। জেলার সেপ্টেম্বর মাস অবদি যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা ইতিমধ্যেই সম্পুর্ন হয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের কর্তাদের একাংশের ধারণা সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩ মাসের মধ্যে আলিপুরদুয়ার প্রথম স্থানেও চলে আসতে পারে রাজ্যের মধ্যে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানা গেছে, আপাতত শুধু জুলাই মাসেই ম্যানডেজ তৈরি করা হয়েছে ৪১৬৭০৫৮ টি। ১০০ দিনের কাজে নজির
More News –তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের জন্য করোনার ভয়াবহতা নিয়ে কেন্দ্রের আশঙ্কা
যা ১০০ শতাংশ লক্ষ্য মাত্রার দ্বিগুনের বেশি প্রায় ২৭০ শতাংশ। কোভিভ পরিস্থিতিতে লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধ থাকায় এপ্রিল মাসে কর্মদিবস কিছুটা কম ছিল। তবে মে,জুন,জুলাই এই ৩ মাসে কার্যত রেকর্ড সংখ্যায় মানুষকে কাজ দেওয়া হয়েছে জেলার ৬৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে। বিশেষজ্ঞ দের একাংশ বলেন, আলিপুরদুয়ার জেলার ক্ষেত্রে বিষয়টি যথেষ্টই তাতপর্যপুর্ন।কারন কলকাতা থেকে রাজ্যের দূরতম জেলা। নতুন জেলা বয়স মাত্র ৮।পাশাপাশি ভিন রাজ্য থেকে ফিরে আসা শ্রমিকদের সংখ্যা চিন্তা বাড়িয়ে ছিল প্রশাসনের।
১০০ দিনের কাজে নজির তৈরি করে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে আলিপুরদুয়ার জেলা
জানা গেছে, ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লক ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের মধ্যে প্রথম হয়েছে। তবে জেলার এতবড় সাফল্য প্রথমবার। জেলাশাষক সুরেন্দ্র কুমার মিনা বলেন, আমরা ৬৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতকেই সঠিক ভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। পাশাপাশি বাইরের রাজ্য থেকে প্রচুর মানুষ ফিরে এসেছেন। এটাও একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। এটা অবশ্যই আমাদের বড় সাফল্য। করোনা নিয়ে ডামাডোলের মধ্যেই শ্রমদিবস তৈরি থেকে বাড়ি প্রতি কাজ দেওয়া, খরচের অঙ্ক—প্রায় সমস্ত দিকেই সফল ভাবে এগিয়েছে প্রশাসন। মানদণ্ডেই উত্তীর্ণ হয়েছে সাফল্যের সঙ্গে।বাজেটে নির্ধারিত লক্ষ্য মাত্রার থেকেও বেশি কাজ চলছে। যার দরুন প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচুর মানুষ কাজ পেয়েছ। গরিব মানুষের হাতে কাজ দিতে বদ্ধ পরিকর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বারে বারেই ১০০ দিনের কাজকে সফল ভাবে রূপাযিত করার বার্তা দিয়েছেন। শুক্রবার তারই ঝলক উঠে এসেছে চা বলয়ের অন্যতম জেলা থেকে।
জেলাশাসক এও বলেন, ‘আমরা একটি টিম হিসেবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছি। পরিসংখ্যানে যা দেখা যাচ্ছে না, তা হল—আমরা প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিককে কাজ দিতে পেরেছি। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের এই সাফল্য ধরে রাখতে এখন থেকেই চেষ্টা শুরু করেছি আমরা।আশাবাদী আর ভাল রেকর্ড তৈরি করতে পারবো।জানা গেছে, গত এপ্রিল মাস থেকে ১০০ দিনের কাজে সাফল্য আনতে ময়দানে নেমেছিলেন কর্তারা। লকডাউন পর্বে সাময়িক সমস্যা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু দ্রুত তা কাটিয়ে উঠে কাজ শুরু হয় জোরকদমে। আবার রাজ্যের মোট ৩ হাজার ৩৪৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতই ভাল ভাবেই কাজ এগোচ্ছে।কোভিভ পরিস্থিতিতেও নিয়ম মেনে জোরদার কাজ হয়েছে রাজ্যজুড়ে।