কোচবিহার: সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে বাংলা মাধ্যমে মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা সমস্ত বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারেন। কিন্তু ব্যতিক্রম দেখা গেল কোচবিহার রামভোলা হাইস্কুলে।
মাদ্রাসা হাই স্কুল থেকে ভালো নাম্বার নিয়ে মাধ্যমিক পরিক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রদের কোচবিহার রাম ভোলা হাই স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ আবেদনপত্র না দেওয়ায় চরম উত্তেজনা বিদ্যালয় চত্তরে। অভিযোগ মাদ্রাসা হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কোচবিহার রামভোলা হাই স্কুলে এসে ভর্তি হতে চাইলে তাদের ভর্তি নাকোচ করে দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মাদ্রাসা থেকে পাশ করে আসা ছাত্রদের ফর্ম পর্যন্ত দেওয়া হবে না বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুরতর অভিযোগ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।
সোমবার ছাত্রদের একাংশ ভর্তির আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে গেলে তাদের মুখের উপরে না করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমকে সাথে নিয়ে ছাত্ররা একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন পত্র সংগ্রহ করতে গেলে ক্যামেরার সামনে ছাত্র দেন ফর্ম দেওয়া হবে না বলে জানান দায়িত্বপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের কর্মচারী। শুধু তাই নয় বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে সংবাদ মাধ্যমের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।ছাত্রদের একাংশ জানান, আমরা মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক পরিক্ষায় পাশ করার দরুন আমাদের বিদ্যালয়ে ফর্ম দেওয়া হচ্ছে না।
সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা, মাদ্রাসার ছাত্রদের একাদশ শ্রেণির ফ্রম না দেওয়ার অভিযোগ
Read More – বিতর্কের অবসান, নাজিরহাট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে ১০দিনের মধ্যে পদত্যাগের নির্দেশ
কন্যাশ্রী প্রকল্পের অ্যাম্বাসাডর করা হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম রুমানাকে
জরাজীর্ণ অবস্থায় জয়ন্তী বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী প্রতিক্ষালয়, বড় দুর্ঘটনার আশংকা
ঈদ উপলক্ষ্যে কোচবিহারে ভবঘুরেদের রাতের আহার এর ব্যবস্থা করল ছাত্র মুর্তাজা আলি
রাজ্যে মাধ্যমিকে আলিপুরদুয়ার জেলার কামাখ্যাগুড়ি হাই স্কুলের ৪জন পেল সর্বোচ্চ ৬৯৭ নম্বর
মাধ্যমিকে ৬৯৭, পরীক্ষায় না বসতে পেরে আক্ষেপ আলিপুরদুয়ারের অর্ঘ দ্বীপ দেবনাথের
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌতম দেব জানান, এটা ভুল বোঝা বুঝি হয়েছে, আমরা আলোচনার মাধ্যমে বিষয় টি মিটিয়ে ফেলবো। সমস্ত মাদ্রাসার ছাত্ররা আবেদনপত্র সংগ্রহ করে তা জমা দিতে পারবেন। নম্বর পার্সেন্টেজে কিছুটা হেরফের হবে সেটা আমরা দেখে নেবো। বিগত দুইদিন থেকে কোনো একটা ভুল বোঝা বুঝির কারণে তাদের আবেদনপত্র দেওয়া হয়নি। আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না।