“…সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি”, অডিয়ো নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ পোস্ট শিল্পী কবীর সুমনের। শনিবার তাঁর নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে মুচিপাড়া থানায়। BJP নেতা সজল ঘোষ তাঁর বিরুদ্ধে থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এবার বিতর্কের আবহে ফের ফেসবুক পোস্ট এই শিল্পীর। তবে এই পোস্টটিও ‘ওনলি ফ্রেন্ডস’ অপশনে শেয়ার করেছেন তিনি । অর্থাৎ তাঁর ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা বন্ধুরাই পোস্টটি দেখতে পাবেন।
উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অডিয়ো বর্তমানে ভাইরাল। যেখানে শোনা যাচ্ছে, এক সংবাদমাধ্যমের কর্মীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন অপর প্রান্তে থাকা একটি কণ্ঠস্বর। এমনকী, সংবাদমাধ্যমের কর্মীর পরিবারকেও রেয়াত করা হয়নি। এই কণ্ঠস্বর কবীর সুমনের বলেই দাবি করা হচ্ছে যদিও রেডর্ডিংটির সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। এই ঘটনার পর বিভিন্ন মহলে কবীর সুমনের তীব্র সমালোচনা হয়। যদি সত্যিই এই কণ্ঠস্বর সুমনের হয় সেক্ষেত্রে তা আপত্তিকর, শনিবার এমনই মন্তব্য করেছিলেন কুণাল।
এবার যাাবতীয় বিতর্কের মধ্যে ফের একবার ফেসবুকে নিজের বক্তব্য শেয়ার করেছেন তিনি। সুমন লিখেছেন, “ভেবে দেখলাম, সেদিন টেলিফোনে এক সহনাগরিককে যে গাল দিয়েছিলাম সেটা সুশীল সমাজের নিরিখে গর্হিত কাজ। এতে কাজের কাজ কিছুই হল না মাঝখান থেকে অনেকে রেগে গেলেন, উত্তেজিত হলেন। এমনিতেই করোনার উৎপাত। তার উপর ফোনে গালমন্দ – লাভ কী। তাই আমি সেই সহনাগরিকের কাছে, BJP, RSS-এর কাছে এবং বাঙালিদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। অক্ষম মানুষই কটুক্তি করে। সত্যিকার প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষমতা যদি থাকত তাহলে কি আর খিস্তি করতাম। আমাদের দেশে যাঁরা একদিন বিদেশী প্রভুত্বের অত্যাচারের প্রতিশোধ নিয়েছিলেন তাঁরা তো কটু কথা (শব্দ পরিবর্তিত) করেননি। সেই ক্ষমতা আমার নেই তাই কটু কথা (শব্দ পরিবর্তিত)। অক্ষমের হাতিয়ার। কোনও কাজেই লাগে না। উলটে, রেগে যাওয়া ভদ্রজনেদের উত্তেজনাবৃদ্ধির কারণে এই শহরের আইনরক্ষীদের চিন্তা ও কাজ বাড়ায় – মিছিমিছি।”