কোচবিহার:
পুন্ডিবাড়ি নিবাসী কঙ্কন নন্দী ও শুভশ্রী নন্দীর একমাত্র কন্যার জন্মদিন উপলক্ষে এক অভিনব উদ্যোগ নিল তারা। নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাড়ি কে এই বিশেষ দিনটি পালন করলেন।
কোচবিহারের পুন্ডিবাড়ি নিবাসী কঙ্কন নন্দী ও শুভশ্রী নন্দীর মেয়ে শ্রীনিকা নন্দীর তৃতীয় তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ তোর্সা নদীর পারে বানভাসি শিশুদের প্রোটিনযুক্ত খাবার বিলি কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন তারা। উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিডিও পাঠশালার কচিকাঁচা শিশুরা ও তোর্সা নদীর পারের শিশুরা।
শিশুদের জন্য প্রোটিনযুক্ত খাবারে ছিল ডিম, কলা, ফুটি, বিস্কুট, দুধ প্রভৃতি। তার পাশাপাশি দুস্ত শিশুদের ও কিছু মানুষদের জন্য মাস্ক প্রদান কর্মসূচী পালিত হয়।
ছোট্ট শ্রীনিকার তৃতীয় জন্মদিন উপলক্ষে পরিবারের পক্ষে তার মামা এবং দুই দিদা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্লাড ডোনার অরগানাইজেশনের নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার রাজ্য সম্পাদক রাজা বৈদ্য। ছোট্ট শ্রীনিকার বাবা কঙ্কন নন্দী বর্তমানে গুজরাটের ভারতীয় সেনাবাহিনীতে রয়েছে। দূর থেকেই মেয়ের প্রতি বাবার আশীর্বাদ বার্তা জানিয়েছেন।
হুমকি দিয়ে এবার পৃথক রাষ্ট্রের দাবি জানাল কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন তথা কেএলও
উত্তরবঙ্গ:
পৃথক রাজ্য নয়, এবার পৃথক রাষ্ট্রের দাবি জানাল কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন তথা কেএলও। তাদের দাবি না মানা হলে সশস্ত্র আন্দোলনের পথে হাঁটা হবে বলেই জানিয়েছে উত্তরবঙ্গের কোচ রাজবংশী জনজাতির মানুষদের নিয়ে তৈরি এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন।
জীবন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন কেএলও সক্রিয় হয়ে উঠেছে সম্প্রতি। সম্প্রতি তাঁদের ভিডিও বার্তা দেওয়া হয় কেএলও-র তরফ থেকে। যদিও সেখানে দেখা যায়নি জীবন সিংহকে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জীবন সিংহর লিখিত বিবৃতি পাঠ করছেন পাভেল কোচ নামে এক যুবক। উত্তরবঙ্গের সাতটি জেলা, নেপালের কিছু অংশ, বিহারের কিষানগঞ্জ সংলগ্ন কিছু অংশ, অসমের বেশ কিছু এলাকা, মেঘালয়ের বেশ কিছু এলাকা ও বাংলাদেশের রংপুর এলাকা নিয়ে স্বাধীন কামতাপুর রাষ্ট্র গঠনের দাবি করা হয়েছে কেএলও-র তরফে।
কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের আরও দাবি, ইতিহাসে যে কোচবিহার রাজ্যের উল্লেখ ছিল, তার যা সীমা তার যা পরিসর ছিল, তা মেনেই স্বাধীন কামতাপুর রাষ্ট্র তৈরি করা হবে। এমনকি জীবন সিংহের এই বিবৃতিতে ভারতকে তাঁদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের এই দাবি মানা না হলে সশস্ত্র সংগ্রামের আহ্বান জানানো হয়েছে এই ভিডিও বার্তায়। তবে ওই ভিডিওটি আদৌ কেএলও’র কিনা তার সত্যতা খবরিয়া২৪ যাচাই করে নি।
পৃথক হওয়ার দাবি জানিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে সশস্ত্র আন্দোলন করে যাচ্ছে কেএলও। কার্যত তাঁদের দাবির সাথে সুর মিলিয়ে সম্প্রতি বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা উত্তরবঙ্গকে পৃথক করার দাবি জানিয়েছিলেন। এরপরেই রাজ্য রাজনীতিতে ওই দাবি শোরগোল ফেলে দেয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরোধিতা করে প্রতিক্রিয়া দেন। বাংলাকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে দাবি জানান পার্থ প্রতিম রায় থেকে শুরু করে রাজবংশী সমাজ থেকে উঠে আসা রাজ্যের বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতৃত্ব। এরপরে কেএলও চিফ জীবন সিংহ এদের বিরুদ্ধে ভিডিও বার্তা দিয়ে স্যোসাল মিডিয়ায় ছাড়েন। যা বর্তমানে বহুল চর্চিত। কিন্তু কেএলও পৃথক রাজ্যের দাবির বদলে পৃথক রাষ্ট্র চেয়ে বসায় এবার বিজেপি নেতৃত্ব কিছুটা হলেও রাজনৈতিক ভাবে সমস্যায় পড়তে পারেন বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা।