কফিনবন্দি হয়ে রাজ্যে ফিরল লাদাখে পথ দুর্ঘটনায় মৃত বাঙালি জওয়ান বাপ্পাদিত্য খুটিয়ার দেহ। আজ সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছয় মৃতদেহ। কলকাতা বিমানবন্দর চত্বরে তাঁকে সেনাবাহিনীর গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। তারপর মরদেহবাহী গাড়ি রওনা হয় খড়গপুরের উদ্দেশে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তাঁর।চোখের জলে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বাপ্পার পরিবার।
শুক্রবার লাদাখের তুরতুক সেক্টরে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সাত জওয়ানের৷ নিহতদের মধ্যে ছিলেন বাংলার জওয়ান বাপ্পাদিত্য খুটিয়া৷ খড়গপুর টাউন থানার অন্তর্গত বারবেটিয়া এলাকায় বাড়ি বাপ্পার৷ বাড়িতে বাবা, মা, স্ত্রী ও ১১ মাসের কন্যা সন্তান আছে৷ গত মাসেই ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন তিনি৷ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ২৭ এপ্রিল বাপ্পা ফিরে যান ক্যাম্পে৷ প্রথমে তাঁকে পাঠানো হয় গুজরাত৷ সেখান থেকে বাপ্পার পোস্টিং হয় সিয়াচেনে৷ কিন্তু সিয়াচেন আর পৌঁছতে পারেননি তিনি৷ পরিবার জানিয়েছে, সেনাবাহিনীতে কাজ করার অদম্য ইচ্ছা ছিল বাপ্পার৷ ২০০৯ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগে দু’বার সিলেক্ট হয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু মায়ের কথা ভেবে তখন যোগ দেননি৷ তবে, তৃতীয়বার-ও সুযোগ হারাতে চাননি বাপ্পা৷ একপ্রকার জোর করেই তিনি যোগদান দেন সেনাবাহিনীতে।
শুক্রবার বাসে করে জওয়ানদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সিয়াচেনে৷ প্রথম দু’টি বাস নিরাপদেই দুর্গম পথে পেরিয়ে যায়৷ কিন্তু আচমকা ধসের কবলে পড়ে বাপ্পাদের বাসটি৷ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি গিয়ে পড়ে শিয়ক নদীতে৷ গুরুতর জখম হন ১৯ জওয়ান৷ তাদের এয়ারলিফ্ট করে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ মৃত্যু হয় সাত জওয়ানের৷ তাঁদেরই একজন বাপ্পা৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩২ বছরের জওয়ানের৷