গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কালজানি নদীর বালুচরে তরমুজ চাষীদের মাথায় হাত পড়েছে। এবছর বাজারে চাহিদা থাকায় খুশি ছিলেন সকলে। কিন্তু গত কয়েকদিনে বৃষ্টিতে তরমুজ চাষে ক্ষতির আশঙ্কা ছড়িয়েছে।
তাঁদের দাবি, করোনা মহামারীর কারণে গত বছর তরমুজের দাম পাওয়া যায়নি। বৃষ্টিতে ফসল নষ্টও হয়ে গিয়েছিল। এবারও টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তরমুজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, তরমুজ চাষে সবচেয়ে কম পরিমাণ জল প্রয়োজন হয়। অতিরিক্ত বৃষ্টিতে জমিতে জল জমে গেলে তরমুজ গাছ পচে নষ্ট হয়ে যায়।গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির জেরে মাথায় হাত পড়েছে তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের দেওচড়াই গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকার চাষিদের।
এক তরমুজ চাষি বলেন, এলাকায় ভালো তরমুজ চাষ হয়। বেশ কয়েকবছর ধরে তরমুজ লাগিয়ে ভালোই লাভ হচ্ছিল। কিন্তু, গত বছর থেকে করোনা ও বৃষ্টির কারণে তরমুজ চাষে লাভ হচ্ছে না। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।তরমুজ চাষ করতে বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু, এবার খরচটুকু উঠবে কি না বুঝতে পারছি না।
অপর এক তরমুজ চাষি বলেন, এলাকায় ভালো তরমুজ চাষ হয়। কয়েক বছর ধরে ভালো ফলন হয়েছিল। তবে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কিছু কাছে পচন ধরেছে। তিনি জানান এবার বাজারে চাহিদা রয়েছে কিন্তু কম ফলন হওয়ায় চাষের খরচ উঠবে কিনা তা নিয়ে ধন্দে সকলে।