বাপ্পা রায়,ময়নাগুড়ি,
২৩ নভেম্বর: সময়ের স্রোতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে রাজবংশী সমাজের কৃষ্টি সংস্কৃতি।সেই সংস্কৃতি ধরে রাখতে এগিয়ে এলো পূজা কমিটি। অগ্রহায়ণ মাসের অমাবস্যা তিথিতে ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি ২নং অঞ্চলের জাবুরাবাড়ি এলাকায় পূজিত হল মা কালি।কিন্তূ এই কালি প্রতিমা অন্যান্য কালি প্রতিমা থেকে একটু ভিন্ন।রাজবংশী ট্র্যাডিশনাল পোশাকে সজ্জিত হয়েছেন মা কালি।রাজবংশী সমাজে এক সময় পাটানি (একধরনের শাড়ি বিশেষ) পড়তেন মহিলারা।আর সেই সাজেই সজ্জিত হয়েছেন জবুরাবাড়ি এলাকার আঈ দশগিরিয়া পূজা কমিটির কালি প্রতিমা। এবছর এই পূজা ৩১ তম বর্ষে পদার্পন করল।
বুধবার অমাবস্যা তিথিতে ঘোর রাতে পূজা হয় এই দেবীর।রীতি অনুযায়ী প্রতি বছর রাজবংশী সমাজের দেউশি দিয়ে এই পূজা হয়ে থাকে । এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।মূলত রাজবংশী সমাজের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে সকলের সামনে তুলে ধরতেই এই অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন পূজা কমিটির সদস্যরা।পূজা কমিটির কোষাধক্ষ্য প্রেমানন্দ রায় বলেন,”আমরা এবছর রাজবংশী কৃষ্টির মহিলারা যে পোশাক পড়তেন অর্থাৎ পাটানি সেই সজ্জায় মা কালিকে তৈরি করেছি।মূলত রাজবংশী সমাজের যে কৃষ্টি হারাতে বসেছে তা জনসমক্ষে তুলে ধরে সেটাকে উজ্জীবিত করাই আমাদের লক্ষ্য।” পূজা কমিটি সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে এই পূজা শুরু হয়েছিল গ্রামের মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যে ডোকেয়া অধিকারীর হাত ধরে।তারপর থেকে গ্রামের উৎসাহী সদস্যদের সাহায্যে পূজা এবারে ৩১ তম বর্ষে।পূজা উপলক্ষে প্রতিবছর রাজবংশী সমাজের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে ভাওয়াইয়া গানের আসর বসে।উত্তরবঙ্গ, আসাম ও বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পী সমন্বয়ে এই অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। তেমনি এবছরও আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ভাওয়াইয়া গানের আসর বসবে এই কালি পূজা উপলক্ষে।