Wednesday, April 24, 2024
Homeরাজনীতিরাজনীতি থেকে অবসর নিলেন বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন

রাজনীতি থেকে অবসর নিলেন বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন

উত্তরের সংবাদ বিউরো:

রাজনীতি থেকে অবসর নিলেন বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য তথা উত্তরবঙ্গের কনভেনার আনোয়ার হোসেন। শুক্রবার ২৭সে আগস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করে তিনি রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা করেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান ২০১২ সাল থেকে তিনি বিজেপি করে আসছেন। একসময় কোচবিহার জেলা বিজেপি কিষান মোর্চা সাধারণ সম্পাদক পরবর্তীতে আরও বেশ কিছু পদে ছিলেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনীতি করার মানসিকতা নেই তার। তিনি আরো বলেন শুধু তিনিই নন আগামী দিনে আরও বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব বিজেপি ছাড়বেন বলে জানান তিনি।

তৃতীয়বারের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যজুড়ে কোথাও দলবদল এবং কোথাও বিজেপির সাংগঠনিক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। তার থেকে বাদ যায়নি কোচবিহার জেলাও। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান কোথাও বিজেপির সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন অনেকেই। ঠিক তেমনি দিনহাটার বিজেপি নেতা তথা সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন রাজনীতি থেকে অবসর নিলেন। তবে এই অবসরের পিছনে আদৌ কোনো চাপ, মন-কষাকষি নাকি রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় না আসার হতাশা লুকিয়ে আছে তা সঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না।

বাংলার ৭টি বিধানসভার উপনির্বাচন কবে? কোনও দিশা দেখাতে পারলনা জাতীয় নির্বাচন কমিশন

নিউজ ডেস্কঃ
বাংলার সাতটি বিধানসভা আসনে কবে উপনির্বাচন হবে, তা নিয়ে কোনও দিশা দেখাতে পারল না জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ বৃহস্পতিবার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে পাঁচ সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধিদল দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে দেখা করে বিধায়কশূন্য সাত বিধানসভা আসনে দ্রুত উপনির্বাচনের দাবি জানান৷ তাঁদের যুক্তি, বাংলায় এখন কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কেরালা-মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যে অবস্থা খারাপ হচ্ছে। সুতরাং, এখনই বাংলায় উপনির্বাচন করিয়ে নেওয়া উচিত। কারণ, রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি কবে আবার খারাপ হবে, কেউ তা জানে না। এই মর্মে সংবিধানের ৩২৪ ধারা উল্লেখ করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।

তৃণমূল প্রতিনিধিদলের দাবি, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার তাদের আশ্বাস দিয়েছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে৷ কিন্তু তৃণমূলের অন্দরেই প্রশ্ন, গত ১৫ জুলাই দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে একই আশ্বাস পেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা৷ সেই আশ্বাস তা হলে কোথায় গেল?

বাংলায় তৃণমূল-বিজেপির দ্বন্দ্বে এখন নতুন ইস্যু হল সামসেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর, ভবানীপুর, খড়দা, শান্তিপুর, দিনহাটা ও গোসাবা এই সাতটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন৷ তৃণমূল শিবিরের দাবি, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে বলে এখনই উপনির্বাচন আয়োজনের আদর্শ পরিবেশ। উল্টো দিকে বিজেপির যুক্তি হল, রাজ্যে স্কুল-কলেজ এবং লোকাল ট্রেন বন্ধ৷ এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন হবে কী করে? দুই শিবিরের মতবিরোধের মধ্যে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে সংবিধানের ৩২৪ ধারা, যেখানে আসন শূন্য হওয়ার ছ’মাসের মধ্যে উপনির্বাচন আয়োজনের কথা বলা হয়েছে৷ আবার এই ধারাতেই বলা হয়েছে, প্রয়োজনে অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে উপনির্বাচন স্থগিত রাখতে পারে নির্বাচন কমিশন৷ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের যে এই ক্ষমতা রয়েছে, তা মানছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার৷

রাজ্যের প্রাক্তন এই মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের ব্যাখ্যা, ‘কমিশনের এই ক্ষমতা আছে৷ তবে তা নজিরবিহীন পরিস্থিতিতেই প্রয়োগ করা যেতে পারে, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার পরে৷’ কমিশন এমন কোনও পদক্ষেপ কোনও দিন করেছে কি না, সেই বিষয়ে অবশ্য জহর কিছু বলতে পারেননি৷

তৃণমূল শিবির অবশ্য দ্রুত উপনির্বাচনের দাবি থেকে সরছে না। বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় জানান, ‘আমরা পরিসংখ্যান পেশ করে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি, এখন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণে আছে৷ এই অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব উপনির্বাচনের আয়োজন করাই বাঞ্ছনীয়৷ কমিশনও আমাদের আশ্বস্ত করেছে৷’ সাংসদ মহুয়া মৈত্রর কথায়, ‘একটা সময়ে দৈনিক ১৭,০০০ সংক্রমণ ছিল রাজ্যে, আজ তা তলানিতে নেমে ৮০০-য় পৌঁছেছে৷ এই অবস্থায় প্রয়োজনে দু’টি দফায় উপনির্বাচনের আয়োজন করুক কমিশন৷’

বিজেপি সূত্রে খবর, কিছু দিনের মধ্যেই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচন নিয়ে তাদের অভিমত দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে জানানো হবে। বাংলার করোনা পরিস্থিতি, ভোট পরবর্তী হিংসা-সহ একগুচ্ছ কারণ উল্লেখ করে বলা হবে, ভোট হওয়ার মতো পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গে নেই। করোনার অজুহাত দেখিয়ে বিরোধীদের রাজনৈতিক কার্যকলাপে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভোট-প্রচার করার মতো পরিস্থিতি নেই বাংলায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, কৌশলগত কারণেই এই মূহূর্তে রাজ্যে উপনির্বাচন চাইছে না গেরুয়া শিবির। কারণ, সব জেলাতেই বিজেপির নিচুতলার সংগঠনের এখন ছন্নছাড়া দশা। তাই উপনির্বাচন যত দিন সম্ভব পিছিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব চাইছেন, সেই ফাঁকে দলীয় সংগঠন কিছুটা চাঙ্গা করে নিতে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল কমিশনে যেতেই পারে। তাতে কিছু এসে যায় না। মুখ্যমন্ত্রী স্কুল খুলতে দিচ্ছেন না, লোকাল ট্রেন চালাতে দিচ্ছেন না। দু’বছর ধরে পুরসভা ভোট করাচ্ছেন না। তার পর কোন নৈতিক অধিকারে তৃণমূল উপনির্বাচন করানোর কথা বলছে!’

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

More News

Recent Comments