তুফানগঞ্জঃ অসম বাংলা ঘেঁষে রয়েছে তুফানগঞ্জ এর প্রাণ কেন্দ্র রসিকবিল পর্যটন কেন্দ্র।তুফানগঞ্জ ২নম্বর ব্লকের বক্সিরহাট থানার অন্তর্গত এই পর্যটন কেন্দ্র রসিকবিল। স্থানীয় বাসিন্দা সুনীতি বর্মন জানান যে এই রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে আলিপুরদুয়ার এ খুব শহজেই পৌঁছানো যায় এবং এই রাস্তা দিয়ে কোচবিহার ও তুফানগঞ্জ এ যাতায়াত করা হয় সবসময়। এই রাজ্য সড়ক কিছুদিন আগেই সারাই করা হয় কিন্তু এখন বর্তমানে বৃষ্টির ফলে রাস্তার আবারো বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে,। সুনীতি বর্মন আরো জানান যে এই রাস্তা দিয়ে বড়ো গাড়ি ও বালি বোঝাই ড্রাম্পার চলাচলের কারনেও রাস্তা আরো খারাপ অবস্থায় পরিণত হয়েছে। বাড়ি থেকে বেরিয়েই রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে ছেলে মেয়েরা, ইস্কুলে পড়তে যেতে হয়, যখন তখন রাস্তা খারাপের কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এর আগে অনেকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে।
অনান্য খবর- শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিল পশ্চিমবঙ্গ পার্ট টাইম টিচার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন
রসিকবিল থেকে একজন গর্ভবতী মহিলাকে তুফানগঞ্জ মহকুমার হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে আগে যেখানে ১৫মিনিটে পৌঁছানো যেত, এখন সেখানে এক ঘন্টা লেগে যাচ্ছে এমনকি রাস্তায় ই মারা যেতে পারে। টাই এই রসিক বিল হয়ে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, তুফানগঞ্জ যাওয়ার রাজ্যসড়ক যাতে দূরত্ব মেরামত করা হয় এই আর্জি জানান স্থানীয় বাসিন্দা হিসাবে ব্লক প্রশাসনের কাছে।
রসিকবিল হয়ে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার যাওয়ার রাস্তার বেহাল দশায় চরম ভোগান্তি
অনান্য খবর- ১০০ দিনের কাজে নজির তৈরি করে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে আলিপুরদুয়ার জেলা
আলিপুরদুয়ার জেলার বারোবিশার এক ব্যবসায়ী বিনয় দাস জানান যে, এই রাস্তা দিয়ে যেখানে তুফানগঞ্জ, বা কোচবিহারে ঘুরে গেলে ত্রিশ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয় সেখানে এই রসিকবিল হয়ে যাতায়াতের অনেকটাই কম সময় লাগে। এমনকি বর্তমানে যে এই রাস্তা দিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার বড়ো বড়ো গর্তে পরিণত হয়েছে এর ফলে, যেখানে আগে তুফানগঞ্জ যেতে সময় লাগতো এক ঘন্টা, এখন সময় লাগে প্রায় দুই থেকে তিন ঘন্টা, খুব দ্রুত রাস্তা মেরামত করা হোক এই আবেদন জানাই ব্লক প্রশাসনের কাছে। এক টোটো চালক জানান যে রাস্তার বেহাল দশার ফলে বৃষ্টি হলেই এই বড়ো বড়ো গর্তের মধ্যে জল. জমির পুকুরের মতন আঁকার ধারণ করে থাকে, বোঝা যাচ্ছেনা যে কোথায় গর্ত হয়ে আছে,। মাঝে মধ্যেই এই রাস্তার বেহাল দশার ফলে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় ছোট গাড়ি থেকে শুরু করে অনেককেই। জীবনের ঝুকি নিয়েও চলাচল করতে হয় সকলকেই।