বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্বের সেরা পেসারদের মধ্যে একজন হলেন স্টুয়ার্ট ব্রড (Stuart Broad)। টেস্ট ক্রিকেটে ইতিমধ্যেই তিনি ৫৫০ উইকেট শিকার করে ফেলেছেন। ক্রিকেট বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় পেসার এবং ষষ্ঠ বোলার হিসেবে ব্রড এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তবে আপনারা অনেকেই জানেন যে সংস্কৃততে একটি শ্লোক রয়েছে যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় মানুষের জীবনে সুখ এবং দুঃখ চক্রের আকারে ঘুরতে থাকে। আর এই চরম সত্যটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন এই ব্রিটিশ ক্রিকেটার। তিনি যতই সাফল্য অর্জন করুন না কেন, তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারে ব্যর্থতার রেকর্ড চিরকাল ধ্রুবতারার মতো উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। আশা করি, আপনাদের আর বলে দেওয়ার দরকার নেই কোন দুটো ইনিংসের কথা এখানে বলা হচ্ছে। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন। প্রথমবার বিশ্বকাপের মঞ্চে যুবরাজ সিংয়ের সেই এক ওভারে ছয় ছক্কার ইতিহাস। আর পরেরটা এজবাস্টনে জসপ্রীত বুমরাহের ব্যাটিং তাণ্ডবলীলা।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ব্যাট হাতে যে পারফরম্যান্স করলেন, সেটাকে তাণ্ডব বললেও বোধহয় কম বলা হবে। তিনি ১৬ বলে ৩১ রান করলেন। এরমধ্যে চারটে বাউন্ডারি এবং দুটো ছক্কা রয়েছে। পাশাপাশি স্টুয়ার্ট ব্রড এই ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ফেললেন। এরমধ্যে বুমরাহের ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ রান। এর পাশাপাশি ৬ রান অতিরিক্ত এসেছে। আর সেইসঙ্গে একটা লজ্জার রেকর্ড গড়লেন ব্রড। টেস্ট ক্রিকেটে ইতিপূর্বে আর কোনও বোলার এত বেশি রান এক ওভারে হজম করেননি। এই কীর্তি আগামীদিনে ব্রডের নাম টেস্ট ক্রিকেটে ইতিহাসের পাতায় বারংবার তাঁর নাম তুলে আনবে।
বুমরাহের এই ধামাকাদার ব্যাটিংয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই যুবরাজ সিংয়ের কথা মনে করতে শুরু করছেন। ২০০৭ সালের টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপে এই ব্রডেরই একটি ওভারে রানের ফুলঝুরি ছুটিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই প্রাক্তন বাঁহাতি ব্যাটার। তিনি এক ওভারে ৩৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। যুবরাজ এই ওভারে একটাও সিঙ্গল নেননি। তিনি ব্রডের ৬ বলেই ৬ ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। এরপর ব্রডের যে প্রতিক্রিয়া ছিল, সেটা কার্যত দেখার মতো! তেমনই প্রতিক্রিয়া আরও একবার এজবাস্টনে দেখতে পাওয়া গেল। মুহূর্তের মধ্যেই তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু করে।