কোচবিহার
কোচবিহার ব্রাহ্ম মন্দির সংলগ্ন শিশু পার্ক কে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করল কোচবিহার পৌরসভা। রবিবার পার্কটি পরিদর্শনে যান পৌরসভার পৌর প্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, মীরিকে যেরকম রয়েছে রঙিন মাছের পুষ্করিণী ঠিক সেই রকম রঙিন মাছের সম্ভার সহ বোটানিক্যাল গার্ডেন এর মত গাছ লাগানো হবে কোচবিহার ব্রাহ্ম মন্দির ক্যাম্পাসে। তিনি বলেন বর্তমানে প্রচুর ফলের গাছ ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্ম বেশিরভাগ গাছ চিনতে পর্যন্ত পারবেনা। নতুন প্রজন্মের কাছে হারিয়ে যাওয়া গাছগুলিকে পুনরায় পরিচিতি প্রদান করার দায়িত্ব নেবে পৌরসভা। মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে সমস্ত ধরনের ফলের গাছ লাগানো হবে ব্রাহ্ম মন্দির এলাকায়। তিনি মিষ্টি করে বলেন, আম পাকে জাম পাকে হাতে পাকে পানিআল, একসময় এই পানিয়াল ফল অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। এছাড়াও সবেদা, কামরাঙ্গা, লটকা, আমরুল, গোলাপ জামুন, সহ অন্যান্য একাধিক ফলের গাছ হারিয়ে গেছে। ছোট ছোট শিশুরা গাছ চিনতে পারেনা। এই ধরনের সমস্ত বিলুপ্ত প্রায় ফলের গাছ থাকবে এই পার্কে। প্রতিটি গাছের মধ্যে থাকবে সেই গাছের নাম, বিজ্ঞানসম্মত নাম, এবং ফলের গুনাবলির ছোট বিবরণ। একই সাথে এই ক্যাম্পাসেই রয়েছে ছোট্ট একটি জলাশয়। সম্পূর্ণ জলাশয়েটের জল পরিষ্কার করে সেখানে রঙিন মাছ রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কি কি মাছ থাকবে তারও একটি বিবরণ থাকবে সেই জলাশয়ের পাশে। দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের অব্যবস্থা কাটিয়ে সুন্দর হতে চলেছে ব্রাহ্ম মন্দির ক্যাম্পাস তাতে অনেকটাই খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। তিনি বলেন, ভেতরে সুন্দর করে লাইট লাগিয়ে বসার জায়গা করে দিলে আর সেই সাথে বাচ্চাদের মনোরঞ্জনের খেলনা গুলি ঠিকঠাক করে দিলে বিকেলের পর প্রচুর মানুষ আসবেন নিজেদের বাচ্চাদের নিয়ে। ব্রাহ্ম মন্দির টিকেও নতুন করে রং করে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে তৎকালীন পৌরপ্রধান বীরেন কুন্ডুর হাতে এই পার্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তারপরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাব পার্কের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। হাজার খানেক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে এই সম্পূর্ণ এলাকা জুড়ে। সঙ্গে রয়েছে একটি বিদ্যালয় এবং কোচবিহার প্রেসক্লাব। গরমের সময় গরমের হাত থেকে বাঁচতে প্রচুর পথযাত্রী এই পার্কে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এই পাক থেকে ঢেলে সাজানো হলে অবশ্যই এলাকার পরিবেশ যথেষ্ট উন্নতি হবে।