স্ত্রী নার্সের চাকরি পাওয়ায় হাত কেটে দিল স্বামী। ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূ রেণু খাতুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর ডানহাতের কব্জি থেকে বিছিন্ন হয়ে গিয়েছে। চাকরি সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্রও-সহ পলাতক স্বামী শের মহম্মদ শেখ ওরফে সরিফুল শেখ-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে কেতুগ্রামের চিনিসপুর গ্রামের বাসিন্দা রেণুর সঙ্গে কোজলসা গ্রামের সরিফুলের বিয়ে হয়। রেণুর বাবা আজিজুল হক জানান, ছোট মেয়ের বিয়েতে নগদ এক লক্ষ টাকা, ৮ ভরি গহনা-সহ একটি স্কুটি যৌতুক হিসাবে দিয়েছিলেন। বিয়ের পর রেণু নার্সিং প্রশিক্ষণও নেন। এরপর দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি পায় তিনি। এমনকী সরকারি চাকরিতেও পরীক্ষা দিয়ে তিনি উত্তীর্ণ হন। শুধু চাকরিতে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল।
কিন্তু রেণুর এই চাকরি মেনে নিতে পারেননি তাঁর স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। চাকরি যাতে সে না করে, সেজন্য বারবার তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
পরিবারের অভিযোগ, শনিবার রাতে সরিফুল বাড়িতেই তার বন্ধুদের নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেন। রেণু ঘুমিয়ে পড়তেই সরিফুল ও তার দুই বন্ধু চড়াও হয় রেণুর উপর। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে তাঁর হাতে। ডানহাতের কব্জি বিছিন্ন হয়ে যায়। চিৎকারে আশপাশের প্রতিবেশীরও ঘুম ভেঙে যায়। রাতেই তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চিকিৎসকরা তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।