উত্তর বঙ্গ সহ পাহাড়ের বৃষ্টিতে ভয়ানক চেহারা কোচবিহার তথা উত্তরে নদী গুলির। কোচবিহারের দশটি নদীর মধ্যে। সাতটি নদীর জল ঊর্ধ্বমুখী। ভয়ানক চেহারা নিয়েছে তুফানগঞ্জ এর রায়ডাক নদী। রায়ডাক 1 নদী 45.40। রায়ডাক দুই নাম্বার নদী 45.50। একাধারে ক্রমবর্ধমান তোরসা হাসিমারা 115.50। তোরসা 41. 38। মানসাই মাথাভাঙ্গা 47.51। এবং কালজানি নদী আলিপুরদুয়ার 45.00। ক্রমবর্ধমান এই জলস্ফীতি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে কোচবিহারে।
পাশাপাশি বৃষ্টিপাত
কোচবিহার সদর 122.80/1985.70। মাথাভাঙ্গা 136.00/1333.80।
তুফানগঞ্জ 142.40/1918.40।
বৃষ্টিপাত আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সেচ দপ্তর। ইতিমধ্যেই নদীগুলি পরিদর্শন শুরু হয়েছে। বাঁধের পরিস্থিতি নিয়েও বিশেষ দল গঠন হয়েছে বলে সেচ দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে। কোচবিহার জেলা শাসক পবন কাদিয়ান জানান, ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর কে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, ত্রাণ এবং ত্রিপাল মজুদ করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোচবিহার জেলা প্রশাসন তৎপর।
এ দিন সকালেই জলের তোড়ে ভেসে যায় তোরসা নদীর ফাঁসির ঘাট সংলগ্ন বাঁশের সাঁকো। এখনো নৌকা পারাপার চালু না হয় সমস্যায় পড়েছে নিত্যযাত্রীরা।
অন্যদিকে,বাজ পরে মৃত্যু হয়েছে বাবা ও ছেলের জমিতে ফসল তুলতে গিয়েছিল বলে জানা যায়। বাজ পরে মৃত্যু হয়েছে বাবা ও ছেলের। বাবা দেবেন মন্ডল 70। ছেলে দুলাল মন্ডল 35 । বৃহস্পতিবার সকাল 11 টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে উওর বালাভুত নয়ারচর এলাকায় তাদেরকে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। বাবা ও ছেলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।