পূর্বাভাস ছিলই। ছিল আশঙ্কা। সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে দুর্গাপুর শহর জুড়ে বর্ষাসুরের দাপাদাপি। সপ্তমীর সকাল থেকেই দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। অথচ শহরবাসী পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা। তাই একদিকে যখন বৃষ্টি পড়ছে, তখন অন্যদিকে ছাতা মাথায় মন্ডপে মন্ডপে ভিড় করতে শুরু করেছেন দর্শনার্থীরা। যদিও মহা পুজোর প্রথম দিনে বৃষ্টিতে কিছুটা বিব্রত দর্শনার্থীরা। তবে সেই বৃষ্টিকে বিশেষ পাত্তা দিতে রাজি নন তারা। তাই বৃষ্টিকে মাথায় নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে প্যান্ডেল হপিং। সেই চিত্র দেখা গিয়েছে ফুল।
দুর্গাপুর ফুলঝোর সর্বজনীন পুজা কমিটির এ বছরের থিম ভুটানের এক বুদ্ধ মন্দির। রাশিয়া – ইউক্রেন যখন যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত, যখন রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান পুতিনের বিশেষ বন্ধু নিউক্লিয়ার হামলার হুমকি দিচ্ছেন, তখন বিশ্বজুড়ে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে উদ্দ্যোক্তারা এই থিম বেছে নিয়েছেন। যেখানে রনংদেহি দেবীর কাছে করজোড়ে ক্ষমা চাইছেন মহিষাসুর। তবে নিম্নচাপের বন্ধুত্বের শুরু বর্ষাসুরের দাপাদাপি শহর জুড়ে। যে কারণে পুজোর পরিকল্পনায় জল ঢালা দিয়েছে অনেকের। তবে পুজোর আনন্দ থেকে তারা মোটেও সরে আসতে রাজি নন। কারণ বিগত দু’বছর অতিমারির জন্য আনন্দ ভাটা পড়েছিল। তাই এ বছর বৃষ্টিতে পুজোর আনন্দে জোয়ার তুলতে চাইছেন সকল দর্শনার্থী।
এদিন মণ্ডপে আসা বিভিন্ন দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, তারা বৃষ্টি মাথায় নিয়েই পুজোয় ঘুরবেন। আবহাওয়া দফতরের পূর্বভাস মাথায় রেখে তারা পুজোর পরিকল্পনা করেছেন। সারাদিন বিভিন্ন মন্ডপে ঘোরাফেরা আর কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। বৃষ্টি উপেক্ষা করে মন্ডপে দর্শনার্থীদের আসতে দেখে অনেকটা নিশ্চিন্ত হচ্ছেন উদ্যোক্তারাও। তারা বলছেন, অনেক বছরই পুজোর সময় বৃষ্টি দেখা গিয়েছে। কিন্তু প্রত্যেক বছরই মানুষজন বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পুজোর আনন্দ করেছেন। এবছরও তাই করবেন। তাই বাঙালির সেরা উৎসবে বৃষ্টি কোনও বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্ত, দর্শনার্থী সকলেই পুজোতে দেদার আনন্দ করার পরিকল্পনা করেছেন।