আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক এর তৃণমূলে যোগদানকে ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে সুমনবাবুকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দিয়েছেন। কিন্তু দলের পতাকা হাতে নিয়ে দেখা যায়নি সুমন কাঞ্জিলালকে। আদৌ দল বদলেছেন কি না, তা নিয়ে মুখে কুলুপ সুমন কাঞ্জিলালের। তবে জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের কারণ। তাঁর কথায়, “২ বছর ধরে আমি বিধায়ক। কিন্তু কোনও উন্নয়ন হয়নি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে আমার এলাকার মানুষের সমস্যার কথা জানিয়েছি। আমি সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মানুষের কাজ করতে চাই।” এতেই স্পষ্ট, খাতায় কলমে তৃণমূলে যোগ না দিলেও আদতে ঘাসফুল শিবিরের হয়েই মানুষের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত সুমন।
যোগদান প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “একজন অতিথিকে স্বাগত নানাভাবে জানানো যেতে পরে। এটাকে আলাদাভাবে তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলার দরকার নেই। যেটা হওয়ার সেটা ঘটবেই। পতাকা আজ দেখেননি কাল দেখবেন।” এদিন বিস্ফোরক দাবি করেন কুণাল ঘোষ। বলেন, বিজেপির মোট ১৩ জন তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এদের মধ্যে ৬ জন সাংসদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধাপে ধাপে তাঁদের দলে নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটে বিজেপি ৭৭ টি আসন পেলেও দলবদলের কারণে তাঁদের বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়াল ৬৯ তে।