জানা গেছে দীর্ঘদিনের প্রেম, একসাথে সময় কাটানো। এদিক ওদিক একসাথে ঘুরতে যাওয়া। সব কিছুই ছিল ঠিক ঠাক। দুই পরিবারের সদস্যরা সহ আত্মীয়-স্বজনরাও তাদের সম্পর্কের ব্যাপারটা জানতো। কিন্তু ছেলে বিয়ে করব করব করে দিন কাটাচ্ছিলেন। ছেলে চাকরি পাওয়ার পর প্রেমে বিচ্ছেদ ঘটায়। এরপর বিয়ে করতে অস্বীকার করে ছেলে। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষকের যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ধর্নায় তরুণী। দুজনের সম্পর্কের কথা স্বীকার ছেলের বাবার। ঘটনায় চাঞ্চল্য ধূপগুড়িতে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে ধূপগুড়ি ব্লকের কালিরহাটের বাসিন্দা শালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শুভঙ্কর রায়ের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসেন কাঠুলিয়া এলাকার সঙ্গীতা রায়। ধর্নায় বসা সঙ্গীতা রায় বলেন, “দীর্ঘ ছয় বছর থেকে আমার সাথে এই বাড়ির ছেলে শিক্ষক শুভঙ্কর রায়ের প্রেমের সম্পর্ক। এতদিন ধরে সে আমাকে বিয়ে করব করব বললেও গত ১ লা এপ্রিল হঠাৎ সে বলে আমাকে বিয়ে করবে না। তাই আমি আজকে সকালে এদের বাড়িতে এসেছি তাকে বিয়ের দাবি নিয়ে।”
তিনি আরো বলেন, ” আমাদের বাড়ি থেকে এর আগে সামাজিক মতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে বেশ কয়েকবার ছেলের বাড়িতে আসা হয়। তারা বিয়ে দেবেন কিন্তু সময় চান। এভাবে দিন কাটতে থাকে। এখন ছেলে আমাকে একজনের মাধ্যমে জানায় সে আমাকে বিয়ে করবে না। তাহলে এতদিন সে আমাকে ঘোরালো কেন? আমার বাড়ির সদস্যদের কেন বলেছিল বিয়ে করব? তাই আমি তাকে বিয়ে করার জন্য তাদের বাড়িতে এসেছি।”
এদিকে শিক্ষক শুভঙ্কর রায়ের বাবা তার ছেলের সাথে সঙ্গীতার সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন,” ওদের বাড়ি থেকে এর আগে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়েছিল। এর আগে ছেলের বিয়েতে মতও ছিল। কিন্তু জানি না এখন কি হয়েছে। আমরা বিয়ে দিতে রাজি। কিন্তু আজকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ মেয়ে আমার বাড়িতে এসেছে।”
এবিষয়ে শিক্ষক শুভঙ্কর রায় সাংবাদিকদের কিছু জানাতে চাননি। এমনকি বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও ফোন তোলেননি।