প্রশান্ত কিশোরকে ঘিরে নতুন করে জল্পনা দানা বাঁধল জাতীয় রাজনীতিতে। এবার নতুন সফর শুরুর ইঙ্গিত দিলেন স্বয়ং ভোটকুশলী পিকে। আগামী দিনে প্রশান্ত কিশোরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন দিকে মোড় নেবে, সে নিয়ে চর্চা চলছিলই। এবার সেই চর্চায় অনেকটাই অক্সিজেন জোগালেন পিকে। আবারও সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যেতে পারে প্রশান্ত কিশোরকে। এমনকি, নতুন রাজনৈতিক দলও তৈরি করতে পারেন পিকে! এমন জল্পনাই ছড়াল ভোটকুশলীর একটি টুইটকে ঘিরে।
সপ্তাহের শুরুতে প্রশান্ত কিশোরের টুইট ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। কী লিখেছেন তিনি? টুইটারে প্রশান্ত কিশোর লিখেছেন, ”গণতন্ত্রে অর্থপূর্ণভাবে অংশ নেওয়ার ও জনতার পক্ষে নীতি গঠনে সাহায্যের জন্য ১০ বছর ধরে অন্বেষণ করলাম। এখন রিয়েল মাস্টার হওয়ার সময় এসেছে। ইস্যুগুলো আরও ভালো করে বুঝতে মানুষের কাছে যাওয়ার সময় এসেছে। জন সুরজ- পিপলস গুড গভর্ন্যান্স (মানুষের সুশাসন)।” টুইটের শেষাংশে লিখেছেন, ‘শুরুয়াত বিহার সে’। অর্থাৎ, বিহার থেকেই পথচলা শুরু হচ্ছে।
প্রশান্ত কিশোরের এ হেন ইঙ্গিতপূর্ণ টুইটের শব্দগুলিই জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে নয়া জল্পনা উস্কে দিয়েছে। তাহলে কি এবার নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করতে চলেছেন পিকে? উল্লেখ্য, একদা নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ-র গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু, পরবর্তীকালে নীতীশের সঙ্গে পিকের সম্পর্কে চিড় ধরে। শেষে জেডিইউ ত্যাগ করেন পিকে। এই অ্ধ্যায়ের পরবর্তী প্রেক্ষাপটে ভোটকুশলী হিসেবে প্রশান্তকে পাওয়া গেলেও সক্রিয় রাজনীতির অংশ হতে তাঁকে দেখা যায়নি। বহুবার তাঁর রাজনীতিতে সরাসরি যোগদানের জল্পনা ছড়ালেও তা বিকশিত হয়নি। এদিনের টুইট আবারও নতুন করে চর্চা বাড়াল।
এদিকে, সম্প্রতি প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগদান ঘিরে জোর চর্চা চলেছে জাতীয় রাজনীতিতে। যদিও শেষমেশ সোনিয়া গান্ধীদের ‘হাত’ ধরেননি তৃণমূলের এই ভোটকুশলী। কংগ্রেসে না যোগদান করার বিষয়ে টুইটারে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর লিখেছিলেন, ”কংগ্রেসে যোগদান ও ভোটের দায়িত্বের প্রস্তাব আমি প্রত্যাখ্যান করেছি। আমার বিনীত মত, গঠনমূলক সংস্কারের মাধ্যমে কাঠামোগত সমস্যা সমাধানের জন্য আমার থেকে দলের প্রয়োজন নেতৃত্বের ও সম্মিলিত সদিচ্ছিার” নেতৃত্ব বলতে পরোক্ষে গান্ধী পরিবারকেই বোঝাতে চেয়েছেন বলে ধারণা পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের।