মিল্টন সরকার:
ঠিক কি ঘটেছিল সেদিন? মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করার পর পার্থ প্রতিম রায়ের একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে, কিন্তু কি ছিল সেই ভিডিওতে যা নিয়ে এত হইচই এত শোরগোল? ফের একবার উত্তরবঙ্গের বঞ্চনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করার পর কোচবিহারের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়কে তাড়িয়ে দিচ্ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু কেন?? উত্তরবঙ্গের নেতা তাই? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি প্রচুর শেয়ার করা হয়েছে এবং লেখা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের থেকে উত্তরবঙ্গ কে বঞ্চিত রাখা হয় তাদের প্রমাণ মিলেল। এছাড়াও বিরোধী নেতৃত্বরাও ভিডিওটি নিয়ে সমালোচনা করেছেন প্রচুর। উত্তরবঙ্গের প্রান্তিক কোচবিহার জেলা বলে কি এভাবে তাড়িয়ে দেওয়া হল, তাই এরকম বঞ্চনা? কিন্তু আসলে কি ঘটেছিল সেদিন, কেনই বা পার্থপ্রতিম রায় কে দিক নির্দেশ করেছিলেন দুই মন্ত্রী? তা আজ পরিষ্কার করে দেবো আপনাদের…
জানা যায় একুশে জুলাই এর আগের দিন ধর্মতলায় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আসেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় সেখানে উপস্থিত অনেক তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকেই এসে তার সঙ্গে কথা বলছিলেন প্রণাম করছিলেন নির্দেশ পালন করছিলেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেতার সৌরভ চক্রবর্তী কথা বলার মাঝেই কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়কে ডাকা হয়। তিনি এসে প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করেন। কিছু কথা শোনেন তারপর তাকে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিম ওই দিকে জা বলে নির্দেশ দেন। সে কথা শুনেই তৈরি করি সেখান থেকে চলে যান পার্থ প্রতিম রায়…. তাহলে কোথায় বঞ্চনা কিংবা কোথায় এত প্রশ্ন? আসলে ভিডিওটির মাত্র কয়েক সেকেন্ড কেটে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছে মাত্র।
একুশে জুলাই এর আগের দিন চূড়ান্ত ব্যস্ততা যেখানে বিভিন্ন নেতৃত্বরা দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। ঠিক একই ভাবে পার্থ প্রতিম রায়কেও ডেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এমনটাই জানা যায়।
এ ব্যাপারে কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়ের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ভিডিওটি বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছে। আসলে এটি একটি চক্রান্ত, দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার। ভাইরাল ভিডিওতে যেটা দেখানো হচ্ছে এমন কোন কিছুই ঘটেনি। এটা সম্পূর্ণ একটা চক্রান্ত মাত্র।
তবে যে উদ্দেশ্যে এবং যে কারণ দেখিয়ে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তা সম্পূর্ণই মিথ্যা এমনটাই দাবি তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরেও।