এবার চিন্তা বাড়াচ্ছে নাইরোবি ফ্লাই কিংবা এসিড পোকা নামে পরিচিত এই পতঙ্গ। তবে আতঙ্ক নয় সতর্ক থাকার বার্তা দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
নাইরোবি মাছি কেনিয়ান মাছি নামেও পরিচিত। এরা ছোট পোকা এবং এদের দেহ অনেকটাই লম্বা। এগুলি কমলা এবং কালো রঙের হয় এবং যেখানে বেশি বৃষ্টিপাত সাধারণ সেসব অঞ্চলেই বেশি পাওয়া যায়। আলো এবং আর্দ্র জায়গার প্রতি এই মাছি বেশি আকৃষ্ট হয়। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন জেলাতেই এই পতঙ্গের আক্রমণের শিকার হয়েছেন অনেকেই। অজানা এই মাছিকে নিয়ে মানুষের মধ্যে ভয়-ভীতি শুরু হয়েছে তবে আতঙ্ক নয় সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে।
নাইরোবি মাছি সাধারণত ফসল নষ্ট করে এবং কীটপতঙ্গ খায়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এই মাছি কামড়ায় না বা হুল ফোটায় না। তবে যদি কারও ত্বকে বসার সময় কোনও বাধা আসে তখন এই মাছি একটি শক্তিশালী অ্যাসিডিক পদার্থ নির্গত করে যা ত্বক পুড়িয়ে দেয়।
এই পুড়িয়ে দেওয়া বিষকে বলা হয় ‘পেডেরিন’। এটি নাইরোবি মাছির ভিতরে বসবাসকারী সিম্বিওটিক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা উত্পাদিত। এই মাছির শরীর থেকে নির্গত তরল ত্বকে পড়লে অস্বাভাবিক পোড়া, ডার্মাটাইটিস বা ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে।
এক দু’দিনের মধ্যেই দেহে ফোস্কা পড়ে, তবে এগুলি সাধারণত শুকিয়ে যায় এবং দাগ হয়ে থেকে যায় না। আরও গুরুতর ক্ষেত্রে যদি বিষ শরীরে আরও ছড়িয়ে পড়ে তাহলে জ্বর, স্নায়ুর ব্যথা, গাঁটে ব্যথা বা বমি হতে পারে। যদি এই বিষ মানুষের চোখের সংস্পর্শে আসে তাহলে কনজাংটিভাইটিস এবং সম্ভাব্য অস্থায়ী অন্ধত্বের কারণও হতে পারে।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এই মাছিগুলিকে বিরক্ত না করে বা স্পর্শ না করে আলতোভাবে উড়িয়ে দিতে হবে। এই মাছি যেখানে বসেছে সেই জায়গাটিও সাবান এবং জল দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। মশারি ব্যবহার করতে হবে, লম্বা হাতার পোশাক পরতে হবে এবং রাতে আলোর নিচে বসা এড়িয়ে চলতে হবে। মাছি মরে গেলে তার দেহ চূর্ণ করা উচিত নয় কারণ এতে শক্তিশালী বিষ রয়েছে যাতে ত্বক ফুলে যেতে পারে।