বেড়াতে যাওয়ার নাম করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে একাধিকবার গণধর্ষণ (Gangrape)। জানাজানি হলে প্রাণনাশের হুমকি। অভিযুক্তদের যৌন অত্যাচারে ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী। বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের নাগরপুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২। শনিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর বেলা ১২টা নাগাদ বাংলাদেশের (Bangladesh) টাঙ্গাইলের পংভাদ্রা গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে কেদারপুর ব্রিজের পাশে লেবুবাগানে নিয়ে যায় তিন যুবক। ওই যুবকেরা হল বছর ছাব্বিশের শাহানুর হোসেন ওরফে নীরব, ৩৬ বছর বয়সি রকিবুল ইসলাম ওরফে বাবু এবং বাইশ বছরের কদ্দুস ওরফে ঈমন। অভিযোগ, ওই লেবুবাগানে একে একে তিনজনই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এরপর বিভিন্ন সময় ভয় দেখিয়ে নাগরপুর রাজিয়া সিনেমা হল-সহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় তাকে। কাউকে কিছু জানালে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।
তাই ভয়ে কাউকে কিছু জানায়নি ওই কিশোরী। তবে গত ৬ এপ্রিল ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় তার। চিকিৎসকরা জানান, ওই কিশোরী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপরই ধর্ষণের কথা জানাজানি হয়। ওই ছাত্রীর বাবা নাগরপুর থানায় ওই তিন যুবকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ধুবরিয়া সাহাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহানুর হোসেন ওরফে নীরব, ডহর পাচুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা রকিবুল ইসলাম ওরফে বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় এখনও অধরা এক অভিযুক্ত। নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি সরকার আবদুলতাহ আল মামুন বলেন, “নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা শুক্রবার রাতে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সকালে পুলিশি ধরপাকড় শুরু হয়। পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আরও এক অভিযুক্ত এখনও অধরা।”
ওই কলেজ ছাত্রীর দাবি, গত বছর বাসাইলের ইউএনও থাকাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। খুব কম সময়েই ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিকে একাধিকবার ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কও তৈরি হয় তার। প্রতারিত হয়ে অন্যত্র বিয়ের পরিকল্পনাও করেন কলেজ ছাত্রী। অভিযোগ, তাতে বাধা দেয় ওই সরকারি আধিকারিক। এরপর একসঙ্গে বেশ কয়েকদিন থাকেনও তারা। তবে এখনও পর্যন্ত সামাজিকভাবে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আইনের দ্বারস্থ হন কলেজছাত্রী।