তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার বিধানসভা ভবনে নিজের চেম্বারে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তিনি জানান, কুলতলির তৃণমূল বিধায়ক গণেশ মণ্ডল ২০১৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ৩৯টি সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তার সমস্ত দলিল রয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর।
বিরোধী নেতা জানান, ফলতার তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খানেরও ৩৯টি সম্পত্তি। ডায়মন্ড হারবারের ব্লক যুব সভাপতি গৌতম অধিকারীর ১১টি সম্পত্তি রয়েছে। ডায়মন্ড হারবারেরই শামীম আহমেদ মোল্লার ১০টি সম্পত্তি। তাঁর অভিযোগ, সকলেই স্ট্যাম্প ডিউটিতে সরকারকে ফাঁকি দিয়েছেন। এতে সরকারি কোষাগারের প্রায় ৬০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
শুভেন্দুর দাবি, তৃণমূলের অন্তত একশো জন নেতার দু্র্নীতির সমস্ত কাগজপত্র তাঁর কাছে এসেছে। হাত পেতে টাকা নেওয়ার ছবিও রয়েছে। আগামী কয়েকদিন ধরে শাসকদলের এই নেতাদের দুর্নীতির স্বরূপ তুলে ধরা হবে। তাঁর আরও অভিযোগ, এঁরা সকলেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। তিনি বলেন, একটা জেলা থেকে কাজ শুরু হল। আজ শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনার চারটি উদাহরণ দিলাম। বাকিটা ক্রমশ প্রকাশ্য।
গত ২৯ অগাস্ট নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, তৃণমূল দেশের মধ্যে সবচেয়ে সাচ্চা রাজনৈতিক দল। তৃণমূলের ৯৯.৯৯ শতাংশ লোক স্বচ্ছ। বিরোধী নেতার দাবি, তৃণমূলের ৯৯.৯৯ শতাংশ লোকই দুর্নীতিগ্রস্ত সেটা তিনি প্রমাণ করে দেবেন। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য বিরোধী নেতার এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে চাননি।