রাহুল দেব বর্মন::
কাজ দেওয়ার নামে লক্ষ্যাধিক টাকা নেওয়ার অভিযোগে দিনহাটার শালমাড়ায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ। এরই মাঝে প্রকাশ্যে হয়ে এলো তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তেজনা কোচবিহার জেলায়, চাপে তৃণমূল। কটাক্ষ করতে ছাড়লো না বিজেপি।
কেউ দিয়েছে ঘরের জন্য টাকা, আবার কেউ কন্ট্রাক্টরি কাজের জন্য আবার কেউ ভাতার জন্য টাকা দিলেও সেই টাকা না আর পাওয়া যায়নি। এই অভিযোগেই দিনহাটার শালমারায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখালো একদল মানুষ। সোমবার দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের নাজিরহাট দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শালমারা এলাকার তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তরণীকান্ত বর্মনের বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরত এর দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তারা। এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে তরণীকান্ত বর্মন অবশ্য বলেন, এলাকার তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর মনভোলা রায় সহ একাধিক নেতা নানাভাবে সরকারি টাকার দুর্নীতি করেছে। সেটা নিয়ে আমি প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবো। সেটা জানতে পেরেই তৃণমূলের ওই নেতারা কিছু লোককে বাড়িতে পাঠিয়ে আমাকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে। তৃণমূল নেতার দাবি নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে তৃণমূলের একটি অংশ এই কাজ করছে। এদিন তরুণীকান্ত বর্মনের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকা কাজিম উদ্দিন শেখ জানান, তরণীকান্ত বর্মন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হিসাবে আমাকে কাজ দেওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা নেয়। তারপর কাজও দেয়নি টাকাও ফেরত দেয়নি। অনেকবার টাকা চেয়েছি কিন্তু মেলেনি।
আরেক বাসিন্দা দয়া নাথ সরকার জানান ঘরের জন্য আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে তারপরে ঘর দেয় নি। অনেকদিন ধরে টাকা চেয়েও সেই টাকা মেলেন। বাধ্য হয়ে এদিন বাড়িতে আসি। অভিযোগ এরকম আরো অনেকের কাছ থেকেই বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিয়েছিলেন তিনি।
তৃণমূল নেতা তরণী কান্ত বর্মন বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় তৃণমূলকে নানা ভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।
তৃণমূলের এই ঘটনাকে কটাক্ষ কক্ষে ছাড়েনি বিজেপি,
কোচবিহার জেলা বিজেপি সভাপতি সুকুমার রায় বলেন “তৃণমূল দুর্নীতির সাথে যুক্ত। ওই অঞ্চলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ওই নেতা RTI করেছিল, অঞ্চলে একুশ কোটি টাকার দুর্নীতি আছে, সেই জন্য তার চাপ হতে পারে। ওরাই ওদেরটা বের করবে আসলে সবাই তো দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। আমরা চাই সমস্তটা তদন্ত হোক। আর যারা টাকা পয়সা নিয়েছে তারা রিটার্ন করুক পয়সা।”