তৃণমূল নেতার আবেগঘন পোস্ট ঘিরে জল্পনা আলিপুরদুয়ারে, কটাক্ষ বিজেপির
আলিপুরদুয়ার:
আলিপুরদুয়ার টাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের এক আবেগঘন পোস্টকে ঘিরে শুক্রবার দিনভর রাজনৈতিক জল্পনা চলে আলিপুরদুয়ার জোরে। নিজের স্যোশাল মিডিয়ার পোস্টে তিনি লেখেন, এতদিন ধরে তিনি নিজের ও পরিবারের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে যাঁদের জন্যে রাজনৈতিক লড়াই ও সংগঠন গড়ার কাজ করেছেন, তাঁরাই সব ভুলে গিয়ে এখন তাঁর বিরোধীতায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। সেই দুঃখে তিনি নিজেকে সব কিছু থেকে সরিয়ে নিতে চান। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক জল্পনা ছড়ায় জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে। টাউন ব্লক তৃণমূল সভাপতি দীপ্ত চ্যাটার্জী যিনি নারুদা নামে পরিচিত তার এই পোস্ট রীতিমতো অস্বস্তিতেও ফেলেছে ঘাসফুল শিবিরকে। প্রশ্ন উঠছে তবে কী রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিতে চলেছেন ওই তৃণমূল নেতা? নাকি দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে মতান্তের জেরেই তাঁর ওই আবেগতাড়িত পোস্ট? যদিও জেলার রাজনীতিতে ‘নারুদা’ নামে জনপ্রিয় ওই নেতা বলেন ‘আমার কারোর প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সময় এলে মুখ খুলবো।’

নিজের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি বেশ কয়েকজন বিএলএ২ প্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি তুলেছিলেন। জেলা নেতৃত্ব তাঁর ওই আপত্তি গ্রাহ্য না করাতে ক্ষুব্ধ হন দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়। যদিও আলিপুরদুয়ারের বর্তমান বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন ‘নারুদা বরাবরই আবেগ প্রবণ মানুষ। আমিও পোস্টটি দেখেছি। ওনার সঙ্গে কথা বলতে হবে। তিনি আমাদের দলের সম্পদ।’ অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন ‘ঠিক কোন প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ও কোন পরিস্থিতির শিকার হয়ে দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় ওই আবেগঘন পোস্ট করেছেন তা আমার জানা নেই।’ দলীয় নেতৃত্ব প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের ওই পোস্টকে ঘিরে শাসক দলের প্রতি একাধিক তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা সভাপতি মিঠু দাস বলেন, “ তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল প্রকট, এর মাধ্যমে এটা বোঝা যাচ্ছে। কিছু ভালো মানুষ যারা তৃণমূলে যোগ্য সম্মান পান না বা দেওয়া হয়না, তাদের দল না করাই ভালো”

