বাপ্পা বর্মন,উত্তরবঙ্গ::
জলপাইগুড়ি জেলায় ফের উঠল নতুন পালক। এবার জেলায় পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন দুজন, একজন ধনীরাম টোটো,ওপরজন মঙ্গলা কান্ত রায়। তাই খুশির হাওয়া জেলা জুড়ে। এবার ভারত সরকারের পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন এই দুজন।
বিশিষ্ট সারিন্দা বাদক মঙ্গলা বাবুর বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধওলাগুড়ি গ্রামে। বিশেষত সারিন্দায় বিভিন্ন পশু পাখির আওয়াজ বের করে সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছেন মঙ্গলা বাবু। অন্যদিকে অবলুপ্তির পথে টোটো ভাষা। ইউনেস্কোর অবলুপ্তপ্রায়ের তালিকায় নাম রয়েছে এর। জনজাতির সেই ভাষাকে সংরক্ষণ করতে ও বর্ণমালা তৈরি করেছেন ধনিরাম টোটো। তাঁর কোনও প্রথাগত প্রশিক্ষণ ছিল না। তারপরেও ৩৭ বর্ণ সম্মিলিত এই বর্ণমালা তৈরি করেছেন তিনি। এমনকী, টোটো ভাষায় লিখে ফেলেছেন গোটা বইও। তিনি জলপাইগুড়ির বাসিন্দা।
মঙ্গলা বাবুর জাদু রয়েছে। নানা ধরনের পশু পাখির সুর তাঁর সারিন্দায় যেনো জীবন্ত হয়ে ওঠে। বয়সের ভারাক্রান্তে প্রবীণ হলেও সারিন্দাকে আগলে রেখেই অতিবাহিত করছেন জীবন। আর সারিন্দার সুবাদেই তিনি আজ বিখ্যাত। তিনি আজ উত্তরবঙ্গের মোরগ দাদু নামে সকলের কাছে পরিচিত ।
অন্যদিকে টোটো জনজাতির ভাষাকে সংরক্ষণ করতে ও বর্ণমালা তৈরি করেছেন ধনিরাম টোটো। তাঁর কোনও প্রথাগত প্রশিক্ষণ ছিল না। তারপরেও ৩৭ বর্ণ সম্মিলিত এই বর্ণমালা তৈরি করেছেন তিনি। লিখেছেন বইও।
এবার উত্তরবঙ্গের এই দুজন পেতে চলেছেন ভারত সরকারের পদ্মশ্রী সম্মান। তাই গর্বিত জলপাইগুড়ি সহ গোটা উত্তরবঙ্গ।।