দু বছরের করোনার করা কাটিয়ে এবার পুরনো ছন্দে ফিরতে চলেছে কোচবিহার রাসমেলা। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন কোচবিহারের পৌর প্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। শুক্রবার পৌরসভায় আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান চলতি বছর ১৫ দিনের জায়গায় রাস মেলা হবে কুড়ি দিনের। কলকাতা এবং বাংলাদেশ থেকে প্রচুর ব্যবসায়ীদের ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয় রাস মেলার ঐতিহ্য রক্ষা করতে কলকাতার প্রচুর নামি শিল্পীদের দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। কোচবিহার রাসমেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রাস মেলার অন্যতম ঐতিহ্য। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, কোচবিহারে অন্যতম নিজস্ব উৎসব হলো রাস মেলা। দুই বছরের করণা মহামারী কাটিয়ে নতুন ছন্দে ফিরবে রাসমেলা। দোকানের সংখ্যা যেরকম বাড়বে সেরকমই বাড়বে কলকাতা এবং বাংলাদেশ আসাম ভুটানের দোকান। চলতি বছরের রাস মেলায় অন্যতম নজির হয়ে উঠবে কোচবিহার জেলায়। একই সাথে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে থাকছে নতুন চমক।
কোচবিহার মদন বাড়িকে কেন্দ্র করে এই রাসযাত্রা কোচবিহারের অন্যতম ঐতিহ্য। মহারাজার হাত দিয়ে উদ্বোধিত এই রাশমেলা বর্তমানে জেলা শাসক উদ্বোধন করেন। রাস মেলায় শুধুমাত্র কোচবিহার জেলা নয় পার্শ্ববর্তী জেলা আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং নিম্ন আসাম থেকে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। কোচবিহার অর্থাৎ রাজার শহরে এটি অন্যতম নিজস্ব উৎসব হিসেবে পরিচিত। তারপরে এই রাস চক্র চলে যাবে মদনমোহন বাড়িতে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম বড় নিদর্শন কোচবিহারের এই রাসমেলা। কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে নিজস্ব গৌরবে এই রাসমেলা চলতি বছর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। কোচবিহার সহ পার্শ্ববর্তী সমস্ত জেলার মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পৌর প্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।