নিউজ ডেস্কঃ
এবারে আর ভাইফোঁটা দেওয়া হলো না প্রিয়াঙ্কার, পরিবারে শোকের ছায়া। দাদার বদলে ফোটা দিলেন অনাথ শিশুদের। গত ১০ ই অক্টোবর উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিং এ গিয়ে মারা যান নদীয়ার রানাঘাট থানার পায়রাডাঙ্গা উকিলরা এলাকার প্রতিভাবান যুবক প্রীতম রায়। দীর্ঘ ১৫ দিন পর তার মৃতদেহ উদ্ধার করে উত্তরাখণ্ড পুলিশ। প্রিয়াঙ্কার এক ভাই এক বোন দাদা প্রীতম রায় ছিলেন মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া। আজ প্রীতম নেই তাই প্রিয়াঙ্কার চোখের জল সকাল থেকে নেই কর্মব্যস্ততা দাদার জন্য নিজের হাতে তৈরি করা খাবার নিয়ে অপেক্ষা সেও আর নেই। বাড়ির পাশেই প্রিতমের মৃতদেহ কে কবর দিয়ে কাকে সেখানেই গড়ে উঠছে মন্দির। বোন প্রিয়াঙ্কা কি নিয়ম ডাক্তারি পড়ুয়া দুজনেই বাইরে থাকতেন একসাথে বাড়ি ফিরতেন সেসব আজ তার কাছে অতীত।
সকলের সাথে সকলের পাশে বীরভূম পুলিশ
বীরভূম জেলা পুলিশের তরফ থেকে বছরের বিভিন্ন সময়ে উৎসব-অনুষ্ঠানে দুঃস্থ দরিদ্র মানুষদের পাশে থাকার জন্য নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুর্গাপূজার সময় তারা পুজো পরিক্রমা থেকে শুরু করে বস্ত্রদান নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও বজায় থাকলো দীপাবলিতে।
দীপাবলিতে বীরভূম জেলা পুলিশের রামপুরহাট মহকুমা পুলিশের তরফ থেকে শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যে অনুষ্ঠানের অংশহিসেবে অনাথ শিশুদের নিয়ে একটি খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। রামপুরহাট এসডিপিও সায়ন আহমেদের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে ছোট ছোট অনাথ শিশুদের পেটপুরে খাওয়ানোর ব্যবস্থা।
রামপুরহাট এসডিপিও সায়ন আহমেদ কেবল এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন এমনটা নয়, এর পাশাপাশি তিনি নিজের হাতেই ওই সকল শিশুদের খাবার পরিবেশন করেন। দীপাবলি উপলক্ষে যখন আমরা প্রত্যেকে আনন্দে মেতে উঠেছি সেই সময় রামপুরহাট পুলিশের এমন সহৃদয় পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।