এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। রাতেই গ্রামে সালিশি সভা বসিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হয় বলেও শাসকদলের নেতাদের দিকে অভিযোগ। পুলিশের কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে পুরো বিষয়টি জানাতে গেলে তারাও দায় এড়িয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানা এলাকায়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার নির্যাতিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। শেষ পর্যন্ত ঘটনা জানাজানি হতেই মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ নেওয়া হয়। এই ঘটনা ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে পিংলা থানা এলাকার এক প্রতিবন্ধী তরুণী বাসন্তী পুজো দেখতে দিদির বাড়ি গিয়েছিল। সেখানে রাতের খাওয়ার খেয়ে এক আত্মীয়ার সঙ্গে পুকুরে বাসন ধুতে যায়। বাসন ধোয়ার সময়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তরুণীকে পিছন থেকে ঝাপটে ধরে ঝোপের দিকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। চিৎকার চেঁচামেচিতে লোকজন জুটে গেলে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য পালিয়ে যায়।
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, রাতেই গ্রামে সালিশি সভা ডেকে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলেও পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে সেই অভিযোগও নেওয়া হয়নি বলে পরিবারের লোকেরা জানান। মঙ্গলবার দুপুরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পর আদালতে অভিযোগ জানাতে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন পরিবারের লোকেরা। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত সেখানে পৌঁছে গিয়ে অভিযুক্তের পরিবারকে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়। সেখানে অভিযোগ জমা নেওয়া হয়।