উত্তরবঙ্গ সফরে জলপাইগুড়ি শহরে এসে নস্টালজিক বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নিজের পুরোনো কর্মক্ষেত্রে এসে আপ্লুত হয়ে পরলেন।
শুক্রবার ১০:৪৫ মিনিটে শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি এসে উপস্থিত হন জল্পাইগুড়ি আসাম মড়ের জলপাইগুড়ি মিশনারি অফ চ্যারিটি স্কুলে। এরপর তিনি ঘুরে দেখেন সমগ্র স্কুল। এবং আবাসিক দের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের হাতে কম্বল ,বিভিন্ন হুইলচেয়ার, ট্রাই সাইকেল তুলে দেন পাশাপাশি আবাসিকদের জন্য বক্তব্য রাখেন। এরপর মিশনের পাদ্রী, সিস্টার দের সঙ্গেও কথা বলেন।
তিনি একজন বিশেষভাবে সক্ষম অলিম্পিকে অংশগ্রহনকারী শিক্ষিতা মেয়ের সঙ্গে কথোপকথনে নিজেকে মেলে ধরেন উৎসাহের সঙ্গে। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস মেয়েটির সঙ্গে উৎসাহের সঙ্গে তাঁর কথা শোনেন এবং আলোচনা করেন।
তিনি বলেন মিশনারিজ অফ চ্যারিটিতে এসে তিনি মুগ্ধ । সিষ্টাররা যেভাবে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছেন বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য । এই সেবার মধ্য দিয়েই ঈশ্বরকে উপলব্ধি করলেন তিনি।
চ্যারিটি স্কুল থেকে বেড়িয়ে ১১ট ৩০ নাগাদ তিনি চলে আসেন জলপাইগুড়ি ক্লাব রোডের এসবিয়াই মেইন ব্রাঞ্চে, যেখানে তিনি তার প্রফেশনাল জীবনের শুরু করেছিলেন। প্রাক্তন কর্মীদের দেখে নস্টালজিক হয়ে পড়েন রাজ্যপাল। ব্যাঙ্কের পুরনো আধিকারিক ও কর্মীদের সাথে দেখা করে ভাব বিনিময় করেন।রাজ্যের রাজ্যপালকে বরন করতে জলপাইগুড়িতে আসেন SBI এর চিফ জেনারেল ম্যানেজার প্রেম অনুপ সিনহা। উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বিরেন্দ্র সিং,চিফ ম্যানেজার দিপক সিং সহ আধিকারিকরা। জলপাইগুড়ি স্টেট ব্যাঙ্ক এর মেইন ব্রাঞ্চে হেরিটেজ কর্নারের উদ্বোধন করেন তিনি । রাজ্যপাল জানান আজ আমি খুব আনন্দিত ও উচ্ছসিত।আজ আমি নস্টালজিক হয়ে পরেছি।আমি আমার কর্মজীবন এখান থেকেই শুরু করেছিলাম।এই স্টেট ব্যাঙ্কেই আমি কাজ করতাম।আমাকে আমার সহকর্মী অশোক রায় চৌধুরী বলতেন তুমি যেটা ভাবো সেটা পাবে, এটা নাও হতে পারে।যেটা পাচ্ছো সেটাকে ভালোবাসতে শেখো। তার এই কথা কে পাথেও করেই জীবনে চলা শুরু করেছিলেন তিনি।।। তিনি আমাকে অনেক কিছুই শিখিয়েছেন।আমি বাংলায় এসেছি।তাই আমি ব্যাঙ্কার হয়ে যা শিখেছি এখানেই শিখেছি।।তাই এখানে এলাম।
শেখান থেকে সরাসরি শিলিগুড়ির উদ্দেশ্য রওনা দেন রাজ্যপাল।